শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান

0

স্পোর্টস রিপোর্ট: এবারের ইমার্জিং এশিয়া কাপটা যেনো আফগানিস্তানের জন্য স্বপ্নের মতো। আফগানদের হয়ে সেদিকউল্লাহ অটল প্রতিটি ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের দাপট দেখিয়ে দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে সর্বশেষ ফিফটিতে আফগানিস্তানকে প্রথমবারের মতো যেকোনো মঞ্চে বৈশ্বিক ট্রফিও এনে দিয়েছেন তিনি। এইদিন সেদিকউল্লাহর অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংসে ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে আফগানরা। লঙ্কানদের হতাশায় ডুবিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো আফগান যুবারা। জয়ের কাজটা অবশ্য শুরু করে রেখেছিলেন আফগান বোলাররা। শ্রীলঙ্কাকে ১৩৩ রানে অলআউট করে জয়ের স্বপ্ন কয়েকগুণে বাড়িয়ে তোলেন। যদিও রানতাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো ছিলো না আফগানিস্তানের। ১৩৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় তারা। সাহান আরচ্চিগের বলে ‘গোল্ডেন ডাকে’ ফেরেন ওপেনার জুবাইদ আকবরি। যদিও পুরো টুর্নামেন্টে বোলাদের তুলোধুনো করা সেদিকউল্লাহ অটল নিজের কাজটা ঠিকই করে যান। আগের চার ম্যাচের প্রতিটিতেই ফিফটি করা বাঁহাতি ওপেনার আজও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। তার ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে আফগানরা। এতে প্রথমবারের মতো ইমার্জিং এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তারা। সবমিলিয়ে এবারের আসরে ৫ ম্যাচে ৫ ফিফটিতে ৩৬৮ রান করেছেন সেদিকউল্লাহ। ১২২.৬৬ গড়ে বলা যায় একাই আফগানদের চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। আজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে অবশ্য ডারইউশ রাসুলি (২৪) ও করিম জানাতের (৩৩) ইনিংস দুটিরও গুরুত্বও কম ছিলো না। এর আগে আল আমেরাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১৫ রানে ৪ ‍উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লঙ্কানরা। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামলান পবন রত্নায়েকে এবং সাহান অরাচ্চিগে। ব্যক্তিগত ২০ রানে রত্নায়েকে বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কাকে একাই টেনে নেন সাহান। যখন দলীয় রান একশো নিয়েই শঙ্কা ছিল তখন দলকে ১৩৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন বাঁহাতি ব্যাটার। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন নিমেশ ভিমুক্তি (২৩)। দুজনে মিলে দলের খাতায় ৪২ রান যোগ করেছেন। সাহান ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন ৬ চারে। শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই ধসিয়ে দেওয়া বিলাল সামি নিয়েছেন ২২ রানে ৩ উইকেট। এবারের ইমার্জিং এশিয়া কাপে টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন প্রতিটি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো আফগানিস্তানের সেদিকউল্লাহ অটল। অন্যদিকে ফাইনালের ম্যাচসেরা হয়েছেন আল্লাহ গজানফর। ৪ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

Share.