ঢাকা অফিস: নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গোটা বাংলাদেশ যখন সংকট ময় মুহূর্ত পার করছে ঠিক সেই সময় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তাররা রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। গত ৮ মার্চ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এক রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। দু-একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজি সেবা চালু থাকলেও বন্ধ রয়েছে ডাক্তারি সেবা। রোগী ও তার স্বজনরা বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেয়ে প্রত্যাশিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একারণে গাংনী উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ থেকে আগত অনেক রোগী চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জানা গেছে গাংনী উপজেলায় প্রায় ১২ টি বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এইসব ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রায় ৪০ জন ডাক্তার দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নামিদামি হাসপাতাল থেকে এসে রোগীর সেবা দিতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস এর অজুহাতে এসব ডাক্তাররা গাংনীতে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। গাংনী উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি পারভেজ হোসেন জানান তাহের ক্লিনিক, হুদা ডায়গনস্টিক সেন্টার, রবিউল ইসলাম মেমোরিয়াল হাসপাতাল, রাজা ক্লিনিক, এইচএম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মোল্লা ডায়গনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সূর্যের হাসি ক্লিনিক বামুন্দির আল শেফা, আলফালা, করবি, স্বাস্থ্য বাংলা ও মাহী ক্লিনিকে যেসব ডাক্তার রোগীর সেবা দিতে আসতেন করেনা ভাইরাসের কারণে সেসব ডাক্তাররা রোগীর সেবা দিতে আসছেন না। তিনি আরো বলেন জাতির সংকটময় মুহূর্তে ডাক্তারবৃন্দ কে রোগীর সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়েছি। স্থানীয়রা জানান ইতিপূর্বে ডাক্তারবৃন্দ তাদের নামের পাশে ডিগ্রী জাহির করতে গাংনী উপজেলা কে মাইকিং এর শহরে পরিণত করতো। এখন সেই মৌসুমী সুবিধাবাদী ডাক্তাররাই রয়েছে অন্তরালে। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন সংকটময় মুহূর্তে চেম্বার খোলা রাখার জন্য বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদেরকে বলা হয়েছে।
সংকটপূর্ণ মুহূর্তে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখা বন্ধ: ভোগান্তিতে রোগীরা
0
Share.