ডেস্ক রিপোর্ট: সংসদ চত্বরে গাড়ি থেকে নেমেই পড়িমড়ি করে দৌঁড় দিলেন রেলমন্ত্রী। আশেপাশের সবাই তখন বিস্মিত। আসলে সংসদে নির্ধারিত সময় ঢুকতে দেরি করে ফেলেছিলেন পীযূষ গোয়েল। সে কারণেই দৌঁড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংসদে ঢোকার চেষ্টা করলেন তিনি। তার এমন ছবিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। বেসরকারি অফিসে দেরি করলে বেতন কাটা যায় অথবা বসের বকাঝকা শুনতে হয়। আর তাই অফিস টাইমে বেসরকারি অফিসের লোকজনের দৌঁড়ঝাপ অফিসপাড়ার পরিচিত ছবি। সেই ছবিই এবার সংসদ চত্বরেও দেখা গেল। দেরি হয়ে যাওয়ায় দৌঁড় দিলেন খোদ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেখানে হাজির হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও। আবার সকাল ১১টায় লোকসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বও ছিল। সেখানে রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সাংসদদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে পীযূষ গোয়েলকে। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশি সময় লেগে যায়। দেরি করে ফেলেন পীযূষ। আর প্রশ্নোত্তর পর্বে রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে তাকে। সে কারণে সংসদ চত্বরে নেমেই দৌঁড় দেন পীযূষ গোয়েল। গুজরাটের বিজেপি সাংসদ প্রভু বসাবা ওই ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, প্রশ্নোত্তর পর্বে দেরি যাতে না হয় সেজন্য নতুন ভারতের প্রাণবন্ত রেলমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দৌঁড়ে সংসদে ঢুকলেন। রেলমন্ত্রীর দৌড়ের প্রশংসা ও সমালোচনা দুই-ই হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিজেপি সাংসদ রবি কিসানের লিখেছেন, আপনাকে সালাম। কেউ কেউ লিখেছেন, ওনার কাজের ধরন, দায়বদ্ধতা, সময়ানুবর্তিতা প্রশংসনীয়। অন্যরা লিখেছেন, নেতা শিক্ষিত হলে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করেন। এ নিয়ে হাসিঠাট্টাও হয়েছে তুমুল। কেউ লিখেছেন, জেনারেল বগির নিজের আসন পেতে দৌড় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আবার কারো মতে, ইশ! যদি ওনার মতো সময়ে ট্রেন পৌঁছাত। আবার কারও টুইট, সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়াতে পালাচ্ছেন গোয়েল।
সংসদে পৌঁছাতে ভারতের রেলমন্ত্রীর দৌঁড়!
0
Share.