সবাই মাস্ক চাইলে পরতে পারেন আমি পরব না: ট্রাম্প

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিলেও নিজে পরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প মাস্ক পরা নিয়ে কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। আপনি চাইলে পরতে পারেন। আমি ঠিক করেছি পরব না। কিন্তু অনেকেই আছে যারা মাস্ক পরতে চায়। তিনি আরও বলেন, ‘ওভাল অফিসে বিদেশি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, রাজা-রানী, ডিক্টেটরদেরকে আমার অভ্যর্থনা জানাতে হয়। তাই আমার জন্য এটা না।’ খবর ইউএসএ টুডে ও রয়টার্সের। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে মাস্ক পরার দরকার নেই বলে আসছিল সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো। মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর চলতি সপ্তাহে নতুন করে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। এখন মাস্ক পরার কথা বলছে ট্রাম্প প্রশাসনও। এমন পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োনীয় এন-৯৫ ফেস মাস্ক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম অন্যান্য দেশে রফতানি বন্ধ করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। মাস্ক নিয়ে এমন টানাপড়েনের মধ্যে শুক্রবারই এ নিয়ে নতুন মতামত দেন ট্রাম্প। বলেন, ‘আমরা এ রোগের সংক্রমণ বিষয়ে আগে যা ভাবতাম তার বদল ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো লক্ষণ ছাড়াই অনেকে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাই মাস্ক পরাই ভালো কাজ।’ তবে একই সঙ্গে মাস্ক পরার প্রতি নিজের অনীহার কথা জানান তিনি। ট্রাম্পের যুক্তি, ‘ভালো অফিসে বসে মাস্ক পরে কাজ করা কার্যত অসম্ভব। তাই আমি এটা পালন করতে রাজি নই।’ মাস্কের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে বাজারে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এজন্য মাস্ক না পেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘কাপড়ের ঘনত্বের বিচারে স্কার্ফ মাস্কের ভালো বিকল্প।’ এদিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৮। এর মধ্যে সাত হাজার ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্তের তালিকায় প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৪০২ জনের। বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও দুটি প্রমোদতরীর ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। মৃত্যুবরণ করেছে ৫৯ হাজার ২০৩ জন। এছাড়া এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ জন।

Share.