ঢাকা অফিস: করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ এর আতংঙ্কে যখন বিশ্ব ও দেশবাসী। ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশ ন্যায় যখন অঘোষিত লকডাউন পালন করছে ঠিক সেই সময়েও গাইবান্ধা জেলায় বহাল তবিয়তে চলছে জেলার সব ইটভাটা। জেলার ১৬৭ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ইটভাটা ১৫০টি । বিশেষ কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই চলছে সব বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রম। এসব ইটভাটায় প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মরত তারা রয়েছেন ব্যাপক করোনা ঝুঁকিতে। এ যেন দেখার কেউ নাই। আর বলারও কেউ নাই। ব্যবস্থা গ্রহনকারীরা রয়েছেন জাদুঘরে। ইটভাটা গুলোও চলছে আগের মতোই। আবাদী জমি হতে মাটি সংগ্রহ করতে চলছে তাদের ব্যবহৃত মরণযান কাড়কা বেপরোয়া চলাচলে গ্রামীন রাস্তা ঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। ধুলা বালুময় প্রতিটি পথ। কতবার বললে চোখে পড়বে! নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা? বন্ধ হবে অবৈধ কার্যক্রম? হতাশ স্থানীয়রা। এর আগে জেলা প্রশাসনের এল আর ফান্ডে অর্থ দিয়ে চলছে অবৈধ ইটভাটা এমন বিভিন্ন শিরোনামে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনটি অভিযান করে যে সব ইটভাটায় অভিযান করা হয়। যে অভিযান কখন যে বন্ধ হয়ে যায় আর কখন যে চালু হয় জানেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ইটভাটা রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্য ১৭টির পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র রয়েছে। লাইসেন্স পাওয়া ইটভাটাগুলোর বেশীর ভাগই স্থাপন করা হয়েছে কৃষি জমিতে ও জনবসতি এলাকায়। আর পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইসেন্স বিহীন চলছে ১৫০টি ইটভাটা। সেগুলো হলো, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬টি, সদর উপজেলায় ২০টি, সাদুল্যাপুরে ১৩ গোবিন্দগঞ্জে ৩৪ পলাশবাড়ীতে ৪৬ ও সাঘাটা উপজেলায় ১১টি ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটা গুলো ভ্যাট, আয়কর পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ছাড়পত্র ও লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করে ইট পোড়াচ্ছেন। এসব ইট তৈরীতে যেমন কোন উপাদান তেমনি নেই পরিমাপ মতো আকার সাকার। এসব ইটভাটা গুলোতে ভোক্তাধিকার হরণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব ইটভাটা বন্ধ করা ও শিশুরাসহ নানা বয়সের মানুষ যারা এসব ইটভাটার শ্রমিক তাদের খাদ্য সহয়তা প্রদান করে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এমন লুকোচুরি ছুলুবুলু খেলা দেখে স্থানীয়রাই যেন বেকুপ। স্থানীয়রা বলেন, এসব অভিযান আর খবরের কাগজে দিয়ে লাভ কি। যে তো সেই শুধু আপনারা আসেন যারা এসব দেখভাল করার দায়িত্বে তারাই চলে ঘুমের ঘোড়া বড় বড় বুলি ঝোড়ে। তাহলে এসব বলে কি হবে। তবে তাদের প্রশ্ন শুধু গরিবে চায়ের দোকান পানের দোকান বন্ধ হলেও আজ পর্যন্ত কেন এসব ইটভাটা বন্ধ করেনি জেলা বা উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টরা। করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ সংক্রমন রোধে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ বৃথা হয়ে যাবে যদি এস ইটভাটার কার্যক্রম এভাবে চলতে থাকে। তাই জেলার সচেতন মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সব বন্ধ হলেও ইটভাটা গুলো চালু
0
Share.