ঢাকা অফিস: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি করা আবশ্যক। তা না হলে বৈষম্য থেকে যাবে। শহর এবং গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যদি সমন্বয় করা যায়, তাহলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন নিশ্চিত হবে।’ মঙ্গলবার বিকালে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর অধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিষয়ভিক্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ২২ ও ২৩তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘গুণগত শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও অপরিহার্য। কিন্তু শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। এর পাশাপাশি গবেষণার বিষয়টিও মুখ্য। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় বরাদ্দ খুবই কম। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় বাজেটের ঘাটতি থাকলেও আমরা গবেষণার বিষয়ে আরও বেশি মনযোগী হতে চাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ আছে। ভালো কোনো প্রস্তাব থাকলে সেটি করতে পারেন। জ্ঞান চর্চায় গবেষণাটিকে যদি উন্নত মানে নিয়ে যেতে পারি এবং শিক্ষকরা এতে সম্পৃক্ত হয় তাহলে সমাজ, অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে দেশ সমৃদ্ধ হবে। এর মধ্যদিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তবে যেসব শিক্ষকরা ই-লাইব্রেরি, ই-বুকে অভ্যস্ত নয়, তারা যেন এসবে অভ্যস্ত হয়। প্রযুক্তির এই সময়ে ই-লাইব্রেরি, ই-জার্নাল শিক্ষার অন্যতম অনুষঙ্গ। এসবে একসেস বাড়াতে হবে। এর সুযোগ যেন শিক্ষার্থীরাও পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণে এই ২টি ব্যাচের ৮টি বিষয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের মোট ২৮৮ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ২৮দিনব্যাপী চলা প্রশিক্ষণের ১৭ মে ছিল সমাপনী দিন। এই সমাপনী অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। এছাড়া এই প্রশিক্ষণে আরও বক্তব্য প্রদান করেন ২২তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বোটানি বিভাগের কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাখা হরি সরকার, ইতিহাসের কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসাদুল আলম, ইংরেজি বিভাগের কোর্স উপদেষ্টা ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম। ২৩তম ব্যাচের বাংলার কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিষ্মদেব চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম ভুঁইয়া, সমাজবিজ্ঞানের কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মো. হাছানুর রহমান।
‘সমাজের সব শ্রেণির মানুষের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি আবশ্যক’
0
Share.