ডেস্ক রিপোর্ট: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী এক সমাবেশ দেখতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন পোল্যান্ডের ছাত্র কামিল শেদচিনস্কি। তাঁকে ১৫ দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে কলকাতার ফরেনার্স রিজওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। কামিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি বাংলা ভাষায় পারদর্শী। তিনি অনর্গল বাংলায় কথা বলতে পারেন। কামিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার রামলীলা ময়দানে সিএএ–বিরোধী এক সমাবেশে যোগ দেন। তাঁকে ভারত ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয় গত সপ্তাহে। তিনি অবশ্য এ নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি। কামিলের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। সেটি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পর সরকারের দৃষ্টিতে আসে কামিলের নাম। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, কামিলকে সম্প্রতি দেশ ছাড়ার নোটিশ পাঠিয়েছে এফআরআরও। তবে মনে হয়েছে, কামিল কৌতুহলবশত সমাবেশ দেখতে গিয়েছিলেন।নোটিশ পাওয়ার পর কামিল বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কলকাতার প্রখ্যাত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা পাগলামি। কেবল সভা দেখতে গিয়েছিলেন বলে কি একজন বিদেশি ছাত্রকে এভাবে তাড়িয়ে দেওয়া যায়? কামিল যদি আদালতে যান, তাঁর পক্ষ হয়ে মামলা লড়বেন বলে তিনি জানান। এর আগে সিএএ–বিরোধী আন্দোলনের একটি ছবি পোস্ট করে ভারত ছাড়ার নোটিশ পান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার মেয়ে আফসারা অনিকা মিম। তিনি বিশ্বভারতীর কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি সিএএ–বিরোধী একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। পরে তিনি সেই ছবি ডিলিট করে দেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এফআরআরও তাঁকে ভারত ছাড়ার নোটিশ পাঠায়। এ ছাড়া সিএএ–বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অভিযোগে জ্যাকব লিনডেনথাল নামের এক জার্মান ছাত্রকেও ভারত ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। জ্যাকব চেন্নাইতে পদার্থবিদ্যার স্নাতকোত্তর বর্ষের ছাত্র। নরওয়ের এক নারী পর্যটন ভিসায় ভারতে ঢুকে সিএএ–বিরোধী মিছিলে যোগ দেওয়ায় তাঁকেও দেশ ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নারীর নাম জানি মেট্টি জোহানসন। তিনি নরওয়ে থেকে পর্যটন ভিসা নিয়ে ভারতের কেরালায় বেড়াতে এসেছিলেন।
সমাবেশ দেখতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন পোল্যান্ডের ছাত্র
0
Share.