ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের কারণে সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে থাইল্যান্ডে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ থেকে সরকারের পদত্যাগ এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবি তোলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। ২০১৪ সালের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরে এটাই সেখানে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। তারা ব্যাংককের ডেমোক্রেসি মনুমেন্টে গিয়ে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেনা প্রধান প্রায়ুথ চান-ওচার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ১. পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। ২. সরকারের সমালোচকদের হয়রান বন্ধ করতে হবে এবং ৩. সেনাবাহিনী লিখিত সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সমালোচকরা বলেন, এই সংবিধানের কারণেই প্রায়ুথ চান-ওচা গত নির্বাচনে বিজয়ী হতে পেরেছেন। শনিবার রাতের বিক্ষোভ থেকে ছাত্রনেতা তাত্তেপ রুয়াংপ্রাপাইকিত বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। এভাবে গণতন্ত্রহীন কিভাবে আমরা ভাল থাকবো? বিক্ষোভ থেকে শক্তিধর থাই রাজতন্ত্রের দিকে কিছু পাবলিক রেফারেন্স তুলে ধরা হয়, যদিও থাইল্যান্ডে আইন করে রাজার সমালোচনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন রেফারেন্স এর আগে সেখানে অচিন্তনীয় ব্যাপার ছিল। রাতে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ ছিল স্থির। তারা বিক্ষোভ থামানোর কোনো চেষ্টা করেনি।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ
0
Share.