রবিবার, নভেম্বর ২৪

সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা মহানগরী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

0

ঢাকা অফিস: সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা মহানগরী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  তিনি বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের। এই সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা মহানগরী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বিপদজনক নগরীতে পরিণত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শুধু বিস্ফোরণ হচ্ছে।’ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালিপূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই র‌্যালির আয়োজন করে। ফখরুল বলেন, ‘যে ভবনে বিস্ফোরণ হচ্ছে সেই ভবনে নির্মাণ কাজ, রক্ষণাবেক্ষণ দেখাশোনা হয় না। গ্যাস জমে সাইন্স ল্যাবে বিস্ফোরণে তিনজন লোক মারা গেলেন। গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণের ফলে ১৭ জন মানুষ মারা গেছেন, যাদের মধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। এর আগে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ হলো সেখানে সাত জন লোক মারা গেলেন।’ ‘কেন হচ্ছে এসব’ এমন প্রশ্ন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো রয়েছে যাদের এগুলো দেখার কথা, নজরদারিতে রাখার কথা, তারা কোন কাজ করে না, সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যার কারণে এই ভবনগুলোতে কোনো নিরাপত্তা নেই, বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করার, আগুনকে প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে আজকে এভাবে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।’ ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা মহানগর সবচাইতে বিপদজনক একটি নগরে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় ঢাকা মহানগরের যে বাতাস সেটাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে দূষিত বাতাস। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ইকোনোমিক্স পত্রিকা বলছে দূষিত মহানগরকে ছাড়িয়ে এখন দুর্নীতির যে বাতাস এটা এখন বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলছে।’ ‘আজকে আওয়ামী লীগের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন অতীতে কখনো এরকম নির্যাতন হয়েছে বলে আমার জানা নেই’- যোগ করেন।  মির্জা ফখরুল। মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বোনেরা আপনাদেরকে আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে। আরও বেশি করে সংগঠিত হতে হবে। দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদেরকে সংগঠিত করতে হবে।’ ফখরুল বলেন, ‘এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সম্ভবত নারীদের মধ্যেও তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী’- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি বয়স্ক মহিলারা জিজ্ঞেস করেন বেগম জিয়া কেমন আছেন। তিনি তাদের বুকের মধ্যেই রয়েছেন। আজকে তারা বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বড় আন্দোলন করে তুলবেন। চলমান আন্দোলনে তারা আরও বেশি করে শরিক হবেন।’ মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন আপনাদেরকে আরও বেশি সংগঠক হতে হবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এই জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এটাই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।’ ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এগুলো কারা করছে সরকারি দলের লোকেরাই করছে- বলেন ফখরুল। ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করা হয় তখন নারীদের একটি সংগঠনও প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসেনি’ উল্লেখ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করে কীভাবে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। কীভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করব। আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামেন এবং আপনারা সফল হন এই প্রত্যাশা করছি।’ মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ।

Share.