সরকার করোনা আক্রান্তের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না : ফখরুল

0

ঢাকা অফিস: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার আক্রান্তের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। তাই মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা নেই। সরকার পর্যাপ্ত পরীক্ষা করতে পারছে না এবং পর্যাপ্ত পরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা এই সরকারের নেই। যে পরিমাণ পরীক্ষা এখনো পর্যন্ত করা হচ্ছে তার মধ্যে শতকরা ২৩ শতাংশ আক্রান্ত। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ২৩ জন আক্রান্ত।’বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজকে করোনায় সবচেয়ে বড় যে সত্যতা উদঘাটন হয়েছে সেটা হলো আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা আগে থেকেই বলা হয়েছে এবং দ্রুত তা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন অক্সিজেন নেই এবং সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না।’আজ সোমবার দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসকদের পরিবারকে সহযোগিতা করার কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় এক ভার্চুয়াল সভায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, করোনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। চীনে যখন ভাইরাসটি ধরা পড়েছে তখন এই সরকার এটাকে গুরুত্ব দেয়নি। কারণ তখন তারা একটি শতবর্ষ অনুষ্ঠান পালন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এটা শুরু হওয়ার তিন মাস পরে তাদের টনক নড়েছে।‘আমাদের চিকিৎসকরা বারবার বলেছেন ভাইরাসটি শুরুর দিকে বাহির থেকে আসা প্রবাসীদের এয়ারপোর্টে টেস্টের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হতো তাহলে আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। কিন্তু তারা এটা করবে কীভাবে? তাদের তো জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই এবং কোনো সক্ষমতা নেই। তারা তো বিনা ভোটের সরকার।’বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এই সমস্যা সমাধানে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে এই সরকার আমাদের এ আহ্বানের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। তারা আমাদের সব প্রস্তাবনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মতো সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা শুরুর দিকে যখন ত্রাণ দিয়েছেন তখন দেখেছি একটা চুরির মহোৎসব সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি খাটের নিচে ও তেলের খনি বানাতে দেখেছি।’মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিয়ে একটি আপদকালীন বাজেট দরকার ছিল। আমরা ভেবেছিলাম, সরকার এবার একটি আপদকালীন বাজেট দিবে। যার মাধ্যমে মানুষ প্রাণে বাঁচতে পারবে। কিন্তু সরকার সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে।ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় আরো বক্তব্য দেন ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ।

Share.