বাংলাদেশ থেকে পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়ায় স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের অধীনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পভুক্ত কোনবাড়ীয়া আরএইচডি-বনগ্রাম জিসি প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তায় নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে এলাকাবাসী কয়েকবার কাজে বাঁধা দিলেও কোন তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই রাস্তা নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সাঁথিয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এলজিইডি পাবনার অধীনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কোনবাড়ীয়া আরএইচডি বনগ্রাম জিসি প্রায় ১১ কিঃ মিঃ সড়ক (যার আইডি নং-১৭৬৭২২০০২) প্যাকেজের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজ, ঈশ^রদি, ঢাকার ঢালী কনসট্রাকশন ও শহরের চকছাতিয়ানীর মেসার্স দেলোয়ার ট্রেডার্স। এলাকাবাসীর অভিযোগ কাজের শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট-বালি ব্যবহার করে তরিঘরি রোলার দিয়ে লেপে দিয়েই বালি দিয়ে ঢেকে দেয়। যাতে কেউ বুঝতে না পারেন যে রাস্তায় নিম্নমামনের খোয়া দেওয়া হয়েছে। তবে এ সড়কের মাঝগ্রাম এলাকায় একইভাবে খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী বাঁধা দেন। এ সময় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান কাজ পরিদর্শনে গেলে সাধারণ মানুষ তার কাছে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ জানান। নির্বাহী প্রকৌশলী জনসাধারণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান ও কার্যসহকারী ইদ্রিসকে নিম্নমানের খোয়া অপসারণের নির্দেশ দেন।অপরদিকে গৌরগ্রিাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন জানান গৌরিগ্রাম এলাকার সড়কে নিম্নমানের খোয়া ও ই্ট দেয়ায় এলাকাবাসীর বাধার মুঁখে প্রায় ১ কিলোমটিার সড়কের নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করা হয়। এখন কার্পেটিং এ থিকনেস নিয়ে ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার তাকে ম্যানেজ করার অনেক চেষ্টা করছেন বলেও তিনি জানান সোমবার ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার বেশীর ভাগই অতিনিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দ্রুত রোলার দিয়ে লেপে দিয়ে হালকা পানি মেরে বালি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচলে বালি সড়ে গেলেই নিম্নমানের খোয়া স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সড়কের মাঝগ্রাম এলাকায় নিম্নমানেরখোয়া দেয়ায় এলাকাবাসীর বাঁধায় তাৎক্ষণিক নির্বাহী প্রকৌশলী তা অপসারণের নির্দেশ দেন। তিনি যাবার পরেই আবার ওই নিম্নমাণের খোঁয়া দিয়েই রাস্তা নির্মাণ চলছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন সরকার কোটি কোটি টাকা রাস্তা নির্মাণে ব্যয় করলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা কাজ বুঝে না নেয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে উঠছে। সড়কের কাজে দায়িত্বরত ঠিকাদারের ম্যানেজারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। এব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন সড়ক নির্মাণের কোন অনিয়ম দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না।
সাঁথিয়ায় নিম্নমানের সামগ্রিতে সড়ক নির্মাণে চরম অসন্তোষ
0
Share.