বিনোদন ডেস্ক: ভারতের একটি টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো থেকে আলোচনায় উঠে আসেন বাংলাদেশের তরুণ শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনি। এক বয়স্ক লোক অসতর্ক ভাবে রাস্তা পার হচ্ছিলো। লোকটিকে বাঁচাতে গিয়ে তার মাথার তালুতে ১২টা, বাম পাশের ভ্রু-তে ১৮টা, মোট ৩০ টা সেলাই পড়েছে, এমনটাই জানিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু এরপরই শোয়াইব বিন আহসান নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী তার ফেসবুক প্রোফাইলে নোবেলের ওই পোস্ট শেয়ার করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন। আলোচনায় থাকতে এবার সাংবাদিকদের ওপর দোষ চাপালেন নামী শিল্পীদের গান কভার করা এই গায়ক।ফেসবুকে দেয়া নোবেলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আসসালামু আলাইকুম। আমি মানুষ। নোবেল। আমার মৌলিক চাহিদা খাওয়া, ঘুমানো, সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করা এবং রাসুল (স:) এর দেখানো পথে চলা। কিন্তু দুর্ভাগ্য অথবা সৌভাগ্যবশত, আমার মৌলিক প্রোফেশান অথবা বিনোদনের মাধ্যম গান শোনা, তারপর গান গাওয়া। যা হয়তো অনেকের পছন্দ, অনেকের নয়। সে বিষয়ে দু:খিত।ছোটোবেলায় নিউজপেপারে সুডোকু খেলতাম। শুকরিয়া। এরপর নিউজপেপার আর আমার কোন কাজে এসেছে? ঠিক মনে পড়েনা। তবে হ্যাঁ! যেহেতু ‘নোবেল’ আপনাদের কাছে একটা পরিচিত নাম, এই নামে কিছু নিউজ তো ছাপা হতেই পারে। এতে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।পত্রিকা নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে? এখন তো ইন্টারনেটের যুগ। পড়াশোনাও অনলাইনে হচ্ছে। পাশের বাড়ির খালাতো ভাই গতকাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে বলতেছে, নোবেল ভাই! আমি সাংবাদিকতা শুরু করতেছি। দোয়া কইরো। বললাম, ওকে।তবে পত্রিকার সাংবাদিক অথবা আমি; আমরা কেউই দৈববাণী প্রাপ্ত আল্লাহর ওলি-আউলিয়া নই যে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। নিউজপেপারে তো অনেক খবরই ছাপা হয়। আর আমিও রোজ-রোজ তামাশা করি। সে বিষয়ে আমরা সকলেই অবগত এবং আমিও দু:খিত।তবে মাথায় ৩০টা সেলাই নিয়ে কেউ তামাশা করে না। আর আমি প্রকাশ্যে, অগোচরে এমনকি অবচেতনেও মিথ্যাচার করিনা। প্রকাশ্যে মিথ্যা বলতে পারলে এত সমালোচনা থাকতোনা। তবে সমালোচনা নিয়ে ইদানিং আর বিচলিত হইনা। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিকটা বোঝার এবং জানার তৌফিক দান করুক, আমিন।’