সাংবাদিক তুহিনকে পুলিশের মারধর

0

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশ প্রতিদিনের আদালত প্রতিবেদক ও কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক তুহিন হাওলাদারকে রাজধানীর ওয়ারীতে মারধরকারী পুলিশের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. শাহাজাহান খান, সৈয়দ আহমেদ গাজী, মনজুর আলম, এমদাদুল হক লাল ও আশরাফ-উল-আলম গতকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল)  এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সারা দেশের মানুষ যখন পুলিশের প্রশংসনীয় ভূমিকা লক্ষ্য করছে, তখন রাজধানীর ওয়ারী থানার এসআই মাহবুব ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তুহিন হাওয়ালারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন। এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা মনে করি, পুলিশের ওই কর্মকর্তা অনধিকার চর্চা করেছেন। তুহিন হাওলাদারও পুলিশের মতো দায়িত্ব পালন করতে বা জরুরি  কাজে বাইরে বের হয়েছিলেন। তাঁকে সেজন্য মারধর করা জঘন্য অন্যায় ও চরম অবিচার। অবশ্যই এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতে হবে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জানা গেছে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এটা যেন লোক দেখানো তদন্ত না হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অ্যাসোসিয়েশন আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুই-একজন পুলিশ কর্মকর্তার আচার-আচরণ যখন পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে তখন ওই ধরনের পুলিশ কর্মকর্তাকে কোনো প্রকার করুনা দেখানো ঠিক হবে না। ওই ঘটনায় ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) সভাপতি ওয়াকিল আহমে হিরন ও সাধারণ সম্পাদ নাজমুল আহসান রাজু, এলআরএফ’র সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান ও আশুতোষ সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী পুলিশদের শাস্তি দাবি করেছেন। তুহিন হাওলাদারকে ওয়ারী থানা পুলিশ কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শুক্রবার  বিবৃতি দেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসানও।  গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকাটুলীর কে এম দাস রোডে তুহিন হাওলাদারকে মারধর করে ওয়ারী থানা পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় তুহিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখনো চিকিত্সাধীন। তুহিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওয়ারী থানার এসআই মাহবুবুর রহমান এবং একজন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্য তাঁর মোটর সাইকেল থামাতে বলেন। ‘ঘর থেকে কেন বের হয়েছেন’ বলেই মারধর করেন। তারা তুহিনকে কোনো কথাই বলতে দেননি। ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় লিখিত আবেদন করে আইনি ব্যবস্থা নিতে ওইদিনই দাবি জানান তুহিন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক ও আইনজীবী মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। পরে ওই এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়।

Share.