সাইমন্ডসের সম্মানে এক মিনিটের নীরবতা

0
স্পোর্টস রিপোর্ট: শেন ওয়ার্ন ও রড মার্শকে হারানোর মাত্র দুই মাসের মাথায় মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। শনিবার রাতে দেশটির কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের টাউন্সভিল শহরের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান। তার সম্মানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টের শুরুতে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আর্মব্যান্ডও পরেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। এদিকে এক শোক প্রস্তাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তারকা অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বিসিবি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসাবে বিবেচিত সাইমন্ডস গতকাল শনিবার মারা গেছেন। বিসিবি অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের পরিবার এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সম্প্রদায়ের প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।’ ১৯৯৮ সালের ১০ নভেম্বর লাহোরে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অভিষেক ঘটে সাইমন্ডসের। প্রথম ম্যাচ খেলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯৮ ম্যাচে তিনি ৫০৮৮ রান করেন। যার মধ্যে ছয়টি শতক ও ৩০টি অর্ধশতক রয়েছে। এ ফরমেটে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ১৫৬। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস তার ক্যারিয়ারে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্ট ম্যাচও খেলেছেন। রান করেছেন ১,৪৬২। যার মধ্যে দুটি শতক ও ১০টি অর্ধশতক রয়েছে। সাদা জার্সিতে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ১৬২। এছাড়া বল হাতে একদিনের ক্রিকেটে সাইমন্ডস উইকেট নিয়েছেন ১৩৩টি, টেস্টে নিয়েছেন ২৪টি। ২০০৮ সালের মাঝামাঝি থেকে দুই দফায় ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় সাইমন্ডসকে। থাকতে হয় অস্ট্রেলিয়া দলের বাইরে। এর প্রধান কারণ ছিল শৃঙ্খলাভঙ্গ ও মদপান। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে সাইমন্ডসের চুক্তি বাতিল করা হয়। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই অলরাউন্ডার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এবার দুনিয়া থেকে অবসর নিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যেখান থেকে কেউ কখনো আর ফিরে আসে না। এর আগে এ বছরেরই ৪ মার্চ একই দিনে মারা যান অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি দুই ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন ও রড মার্শ। তাদের দুজনেরই মৃত্যুর কারণ এক, হৃদরোগ। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরকালে যাত্রা করেন দুই ক্রিকেটার। মৃত্যুকালে ওয়ার্নের বয়স হয়েছিল ৫২ বছর এবং মার্শের ৭৪।

 

Share.