ডেস্ক রিপোর্ট: কিছুদিন পরপর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। ভূমিকম্প প্রবণতায় শীর্ষ তালিকায় থাকা এই দেশটির গবেষকরা প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এত ভূমিকম্পের কারণ নিয়ে। গবেষণায় বহু তথ্যেরও উদ্ভব হচ্ছে প্রতিনিয়ত।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, সমুদ্রের তলদেশের একটি নির্দিষ্ট অংশ থেকেই নাকি বারংবার ভূমিকম্পের মুখে পড়ছে জাপান। ভূমিকম্পের কারণ পর্যালোচনার জন্য একটি গবেষণা করে এমন তথ্য জানতে পারেন জাপানের বিজ্ঞানীরা।এরপর সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল গর্ত করেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। গত ১৪ মে জাপান সাগরে এ গর্ত খোড়া শুরু করে দেশটি। গর্তটির গভীরতা আনুমানিক ৫ মাইল। বিশাল এই গর্ত খুঁড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে জাপান।মূলত জাপানের ভূমিকম্পের ইতিহাস জানতেই এই পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে বিশাল ওই গর্তের একদম নিচ থেকে বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেগুলো নিয়ে শুরু হয়ে গেছে গবেষণা।এক টুইটবার্তায় বিষয়টি জানান গবেষকরা। সে বার্তায় গডজিলার বাস্তব উপস্থিতি নিয়েও মজার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। টোকিও শহরে যদি গডজিলা আক্রমণ করে তবে তারা অবাক হবেন না বলেও জানান। গডজিলা সিনেমায়ও এমন এক গর্ত খুঁড়তে গিয়েই গডজিলা বেরিয়ে এসেছিল। এবার বাস্তবে সেরকম কিছু ঘটবে না তো?-এমন প্রশ্নও করেছেন তারা।প্রসঙ্গত, জাপানে প্রতিবছরের ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। প্রধানত প্লেটটেক্টনিক কারণেই এই ভূমিকম্প ঘটে থাকে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।ইউএনডিপির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এই অঞ্চলের ভূমিকম্পগুলো প্রায় ২৫০ থেকে ৩৫০ বছরের মধ্যে ঘটতে পারে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
সাগরে বিশাল গর্ত খুঁড়ে ইতিহাস সৃষ্টি জাপানের, উঠে আসবে গডজিলা?
0
Share.