ডেস্ক রিপোর্ট: প্রায় দুই দশক পরে আবার শাসক বনাম সুপ্রিম কোর্ট সংঘাতের আবহ পাকিস্তানে। শুক্রবার সে দেশের শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে জানিয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলগত ভাবেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৩টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য। এই মামলায় নির্বাচন কমিশনে যুক্তি ছিল, আনুপাতিক ভোটের হার অনুযায়ী, শুধুমাত্র স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিরই নারী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ৭০টি আসন প্রাপ্য। পিটিআইয়ের স্বীকৃতি বাতিল হওয়ায় তারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের ১৩ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সরাসরি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের শুক্রবারের ওই রায়ের পরেই প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছে শাসক পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ় (পিএমএলএন) এবং পাকইস্টার্ন পিপল্স পার্টি (পিপিপি)-র নেতা-কর্মীরা। যায় জেরে পাক পাঞ্জাব, খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি হয়েছে। কয়েকটি স্থানে পিটিআইয়ের সঙ্গে শাসক জোটের সমর্থকদের সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে ইমরানের অনুগামীরা নির্দল হিসাবে লড়ে ৮৪টি আসনে জিতেছিলেন। পরে তাঁরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে শপথ নিয়ে বিরোধী দলনেতার পদ পান। অন্য দিকে, শাসক জোটের পিএমএলএন ১০৮ এবং পিপিপি ২১টিতে জেতে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দলীয় মর্যাদা ফিরে পেয়ে ২৩টি সংরক্ষিত আসনের দখল পেলে সংখ্যার হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের দল পিএমএলএনের সঙ্গে ব্যবধান কমবে পিটিআইয়ের। যা নিয়ে আপত্তি শাসক জোটের।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের স্বীকৃতি ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
0
Share.