ঢাকা অফিস: সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছুরিকাঘাতে ১০ শ্রেণির স্কুল ছাত্রী নীলা রায় (১৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বখাটে মিজানুর রহমানের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত একটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোম্পানি কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর চারীগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরী এখনও ধরা- ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকার হাজী আইয়ূব আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা (৫০)। নিলা হত্যা মামলায় আব্দুর রহমান দুই নম্বর আসামি এবং নাজমুন্নাহার তিন নম্বর আসামি। এরা দুজনে বখাটে মিজানুর রহমানের বাবা-মা। নিহত নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ণ রায়ের মেয়ে। তিনি তার পরিবার নিয়ে পৌর এলাকার কাজী মোকমা পাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। র্যাব জানায়, গেলো ২০ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নীলা রায় (১৪) নামের ১০ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বখাটে মিজানুর রহমান চৌধুরী। পরে নিহত নিলার বাবা নারায়ণ রায় বাদী হয়ে বখাটে মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি ও তার বাবা-মাকে দুই নম্বর ও তিন নম্বর আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা ( নং-৩৮) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোম্পানি কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ জানান, আসামিদের সাভার থানায় হস্তান্তর করা হবে। সেইসঙ্গে এই মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মিজানুর রহমানের এক সহযোগী সেলিম পালোয়ান (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে তিনি এজাহারভুক্ত কোনও আসামি নন। মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে তার যোগাযোগ হচ্ছে সেটা টেকিং করে তাকে মানিকগঞ্জের আরিচা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
সাভারে নীলা হত্যার ঘটনায় ঘাতক মিজানের বাবা-মা গ্রেপ্তার
0
Share.