সাড়ে ৪ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো রানিমার মরদেহ

0

বাংলাদেশ থেকে খুলনা জেলা প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় দাফনের সাড়ে ৪ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আদালতের নির্দেশে সোমবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার গজালিয়া গ্রামে পারিবারিক কবর থেকে ওঠানো হয় গৃহবধূ রুকাইয়া সুলতানা রানিমার মরদেহ।এদিকে একাধিক বিয়ে ও নারী কেলেঙ্কারিসহ স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত রানিমার স্বামী মশিউরের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। মানববন্ধন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।স্বজনদের অভিযোগ, গত ১৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে গৃহবধূ রানিমা বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে মারা যাওয়ার খবর ছড়ায় স্বামী মশিউর রহমান। থানা পুলিশকে না জানিয়েই দাফন করা হয় মরদেহ। এ ঘটনার তিন মাস না পেরুতেই গত এপ্রিলে স্ত্রীর ছোটবোনকে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ এবং তা ভিডিও ধারণ করে মশিউর।এ নিয়ে ২০ এপ্রিল পাইকগাছা থানায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবশেষ ৫ মে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় মরদেহ উত্তোলন করে ময়মনাতদন্তের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।পাইকগাছা থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার দত্ত বলেন, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এদিকে অভিযুক্ত মশিউরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এ সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবার।এ সময় রানিমার মা শহিদা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের পরিবেশ। রানিমার বাবা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এলাকাবাসীরাও তার বিচার দাবি করেছেন। রানিমার ৪ বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

Share.