সিরাজগঞ্জে বন্যা কবলিত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

0

ঢাকা অফিস: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, রোববার (২৯ আগস্ট) ভোর ছয়টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮ মিটার। শনিবার (২৮ আগস্ট) ভোর ছয়টায় এই পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৩ দশমিক ৬০ মিটার। যমুনায় ২৪ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ সেন্টিমিটার। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্যা কবলিতরা। বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ সহায়তা বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রাণ বিতরন শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দ্রুত বরাদ্দকৃত ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্থদের নিকট পৌঁছাবে।

Share.