সিলেটে একদিনে ১১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

0

ঢাকা অফিস: সিলেট বিভাগে একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার একদিনে ১১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৬ দিনে সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১০ জন। শুক্রবার একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১১৫ জন।এর মধ্যে ঢাকার ল্যাবে ১ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় সিলেটের ৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৬ জন। শুক্রবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, বিকেলে সিলেট বিভাগে ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হলেও রাতে ঢাকা থেকে জানানো হয় সর্বমোট ৯৯ জন আক্রান্ত। তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষা করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব পেরে উঠতে না পারায় ৬৬৭টি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৭৮টি পজিটিভ এসেছে। এছাড়া বিভাগের অন্য তিন জেলা থেকে আরও প্রায় ৪০০টি নমুনা পাঠানো হয়। এগুলোর মধ্যে ২১টির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ঢাকায় ১ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে একদিনে ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে শুক্রবার ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি পজিটিভ আসে। সবমিলিয়ে একদিনে ১১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।এর মধ্যে বিভাগের অন্য তিন জেলা থেকে পাঠানো নমুনা থেকে শনাক্ত হওয়া ২১ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে হবিগঞ্জের ১২ জন, মৌলভীবাজারে পাঁচজন ও সুনামগঞ্জে চারজন রয়েছেন। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিতের কাজ চলছে। আক্রান্তদের মধ্যে হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার দুজন চিকিৎসকও রয়েছেন। সিলেটে গত ৫ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গত ২৬ দিনে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হন ১১০ জন। শুক্রবার একদিনে এই বিভাগে ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সবমিলিয়ে সিলেট বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৫ জনে।প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০টি করে নমুনা আসে। এর মধ্যে গড়ে ১৫০টির মতো নমুনা পরীক্ষা হয়। আর এজন্যই ল্যাবে বিপুলসংখ্যক নমুনা পরীক্ষার জন্য পড়ে আছে। এর ফলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার ১০ দিনেও রিপোর্ট পাচ্ছেন না রোগীরা। রিপোর্ট না জানায় শঙ্কা আর আতঙ্কে দিন কাটছে নমুনা প্রদানকারীদের। রিপোর্ট না পাওয়ায় অনেকেই আগের মতো পরিবারসহ অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করছেন। এতে করে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি।এরপর ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে অনেকগুলো নমুনা জমা হওয়ায় দ্রুত পরীক্ষার জন্য ৬৬৭টি নমুনা ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হয়। আর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয় আরও ৪০০টি নমুনা। এ কারণে মোট ১ হাজার ৬৭টি নমুনা শুক্রবার ঢাকায় পরীক্ষা শেষে একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক রোগীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসলো।দীর্ঘদিন ধরে এসব রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না জানায় অবাধে মেলামেশা করেছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে। এজন্য নতুন করে শনাক্ত হওয়া রোগীর মাধ্যমে আরও বিপুলসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ল।

Share.