ঢাকা অফিস: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা গ্রামের বাগান থেকে কবুতর খেকো টলা (বনবিড়াল ) আটক করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে গাছে ফাঁদ পেতে এটি আটক করা হয়। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস যাবত টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডের পার্শ্ববর্তী আজবপুর, টেংরাটিলা, আলীপুর, টিলাগাও গ্রামবাসীর পোষ্য কবুতর, ঘুঘু, অন্যান্য পাখি খেয়ে সাবাড় করে বনবিড়াল প্রজাতির এই বন্যপ্রাণী। এলাকায় আজ পর্যন্ত শতাধিক পোষ্য কবুতর ও কবুতর ছানা, ঘুঘু, মোরগ মুরগি খেয়ে ফেলে এসব বনবিড়াল।বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীকের বাগানে স্টিলের খাঁচায় মুরগি দিয়ে ফাঁদ পাতলে এটি ফাঁদে আটকা পড়ে।বীর প্রতীক আব্দুল মজিদ বলেন, এটি নিশাচর প্রাণী সহজে মাটিতে নামে না। দিনরাত গাছেই থাকে। গভীর রাতে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায় ও শিকার করে। এই প্রাণীর কারণে ৩ থেকে ৪টি গ্রাম পাখি শূন্য হয়ে পড়েছে। কবুতর, ঘুঘু, শালিক, চড়ুইসহ গাছে যেসব পাখি বসবাস করে সব পাখি এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। টেংরাটিলা টিলা গ্রামের বজলুল মামুন বলেন, প্রাণীটির গায়ে কালো লম্বা দাগ ও প্রায় ২ ফুট লম্বা লেজ রয়েছে। মুখাকৃতি ইঁদুরের মতো। লম্বা ধারালো দাঁত দিয়ে সহজেই শিকার হত্যা করে খেতে পারে এটি। রেগে গেলে দুচোখ লাল রং হয়ে আগুন ঝরায়। রাতের বেলা এ দৃশ্য দেখলে যেকেউ ভয়ে আঁতকে উঠবে। প্রাণীটি এখনো খাঁচায় আটক আছে, বন বিভাগের কেউ নিতে আসেনি। দোয়ারাবাজার উপজেলা বন কর্মকর্তা নিতিশ চক্রবর্তী বলেন, আমি এখন ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি আপনি বন প্রহরী নুরুল হকের সংগে যোগাযোগ করেন। বন প্রহরী নুরুল হকের নাম্বারে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুনামগঞ্জে ‘পাখি খেকো’ বন বিড়াল আটক
0
Share.