সুন্দরগঞ্জে আ’লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিকার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0

বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোখলেছুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিকার দাবিতে ১৯ আগস্ট বুধবার ওই ইউনিয়নের সদস্যদের উদ্যোগে প্রেসক্লাব এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যরা ওই ইউনিয়নের সদস্য যুদ্ধাপরাধী ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার অন্যতম আসামি মমতাজ আলী ও তার দোষরদের এই অপতৎপরতা ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও শাস্তির দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান রাজু দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংখ্যা গরিষ্ট ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ঈদগাহ মাঠ, পাবলিক টয়লেট, মন্দির-মসজিদ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন করে এলাকার উন্নয়নে নজির স্থাপন করেন। তিনি বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, দু:স্থ মাতা, রেশন কার্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যতিরেখে জনগণের মাঝে বিতরণ করে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি কোন প্রকার ভাতা প্রদানে অর্থ নেন না এবং অন্যান্যদের বিরত থাকার জন্য মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সহকর্মী ইউপি সদস্যরা তার কাজে সহযোগিতা করতে পেরে তারা গর্বিত। যে তিনজন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দায়ের করেছে তা একেবারেই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বিধায় তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, মূলতঃ চেয়ারম্যানকে হয়রানি করার জন্য গত নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত প্রার্থীদের ইন্ধনে সুবিধা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিয়মিত মাসিক সভার
অনুষ্ঠান, ভূমি উন্নয়ন করের মাধ্যমে দৃশ্যমান প্রকল্প বাস্তবায়ন, এলজিসিএসপির প্রকল্পের অর্থ যথারীতি সভা ও নিয়মকানুন মেনে প্রকল্প দাখিল ও বাস্তবায়ন, শিশু ভাতা যথারীতি এনজিওর মাধ্যমে প্রদান, এডিপি প্রকল্পের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্প দাখিল, করোনাকালিন সময়ে সারের ভর্তুকি কৃষি কর্মকর্তার দ্বারা প্রস্তুত করে যথারীতি বিলিন করণ, ইউপি ট্যাক্সের টাকা যথাযথ হিসেবে জমা রাখা ও তার দ্বারা দু’মাসের সদস্যদের মাসিক সম্মানী ভাতা প্রদান, ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার ও সংশ্লিষ্ট সচিব জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রস্তুত করেন এবং চালানের মাধ্যমে এ বাবদ আয় যথারীতি ব্যাংকে জমা রাখা হয়। তদুপরি ১৮ মাস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি বিষয়টিও সত্য নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রউফ সরকার, ইউপি সদস্য মো. আনিছুর রহমান প্রামানিক, আব্দুল জলিল সরকার, সবুজ চৌধুরী, আব্দুল মোন্নাফ মিয়া, ইদ্রিস আলী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাহফুজা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য বদিয়াজ্জামান আকন্দ, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ফজলার রহমান, আলম মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ফিরোজ কবির মন্ডল, ছাইদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রামানিক, রঞ্জু মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

Share.