সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কী হবে সেটা ওবায়দুল কাদের সাহেব জানেন: রিজভী

ঢাকা অফিস: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে সেটা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুুবিধা পেতে আওয়ামী লীগের নেতারা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চান না। শুক্রবার ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিটি সেক্টরে অবাধে লুণ্ঠন করে তারা যে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে এ স্বর্গ থেকে তারা বিদায় হতে চান না। এজন্যই ওবায়দুল কাদের বলছেন বিএনপির মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত নামাতে হবে। এটা তো উনি বলবেনই। আবার আইনমন্ত্রী বলেছেন বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাড়ি থেকে সরে আসতে হবে। সেটা না আসলে আইন মন্ত্রী তো কোনোদিন তার এলাকায় ভোটে জিতবে না। বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে হবে এ কারণে তিনি একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চান না। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কী হবে সেটা কাদের সাহেব জানেন এজন্যই তিনি এসব কথা বলছেন। তিনি জানেন, আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হতে পারে। গণতন্ত্র ফিরে আসলে তাদের দূরবীনত্ব দুঃসাসন টিকবে না। গণতন্ত্র ফিরে আসলে তাদের জন্য বিপর্যয়। রিজভী বলেন, বর্তমান যে অবৈধ সরকার তারা দিনে ভোট করতে ভয় পায়, যারা নিশি রাতে জাল ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার টিকে আছে। তারা আরেকটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য উঠে পড়ে লেগেছে, নানা কথা বলছে। তিনি বলেন, তাদের সোনার ছেলেরা ছাত্রলীগ। তাদের হাতে বই কলমের বদলে লাঠি তুলে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সোনার ছেলেরা অন্যদিকে ইডেন কলেজে তাদের স্বর্ণালী কন্যারা যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, এটা তো নজিরবিহীন। সকল ঘটনা অব্যাহত রাখতে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলছেন বিএনপি মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামাতে হবে। তাদের অবাধ লুণ্ঠন এবং ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য এসব কথা বলছে। অথচ তাদের কি জানেনা বিদেশিরা কি কথা বলছে? বিএনপি মুখপাত্র বলেন, যারা জনগণের ভোটকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় তারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করবেই এবং এটাকে তারা ভয় পায়। তাদের ক্ষমতার সিংহাসন নরম গদি সেটা ভেসে যাবে এ কারণেই বিএনপিকে বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসতে হবে। এ সময় ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।