লাইফস্টাইল ডেস্ক: শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজান মাস হচ্ছে মুসলমানদের সংযম ও আত্ম-পরিশোধের মাস। এ মাসে বিশ্বের সকল মুসলিম ধনী-গরীব নির্বিশেষে রোজা থাকে। এ মাসে প্রতিটি মানুষেরই একটু ভালো, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এই সেহরির খাবার নির্বাচন করতে ভুল করি। ফলে অনেকের পেটে বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। তাই এবার পাঠকদের জন্য সেহরিতে কি কি খাওয়া উচিত তা তুলে ধরা হলো-
আঁশসমৃদ্ধ খাবার : প্রচুর পরিমাণে আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার শোষণ করতে বেশি সময় নেয় শরীর। তাই রোজা থাকা অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ শরীর শক্ত সামর্থ্য থাকে এবং এই সময় ক্ষুধা কম পায়। কলা, আম, গাজর, আপেল, বাদাম, ডাল ইত্যাদি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।ফল ও সবজি : পানি জাতীয় ফল বেশি বেশি খাওয়া উচিত। এতে করে দিনের বেলায় শরীর ঠাণ্ডা থাকে। তাই পানিশূন্যতার ঘাটতি পূরণ করতে সেহরিতে তরমুজ, আপেল, তাল, কমলা, মাল্টা, কলা ও পেয়ারা খেতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার : সেহরি খাওয়ার পর ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট এর বিকল্প নেই। খাদ্য তালিকায় এই উপাদানের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সেহরিতে পরিমাণমত ভাত, আলু, কর্ণ স্যুপ কিংবা দুধজাতীয় খাবার খেতে হবে।
ডিম : প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ডিম খাওয়ার ফলে মাংসপেশি শক্তিশালী থাকবে এবং সারাদিন রোজা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়।
পানি : সেহরির সময় থাকাকালীন কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করুন। সেহরিতে বেশি বেশি পান পান করা উচিত। এতে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে এবং হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
সেহরির খাদ্য তালিকায় ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ বা মাংস খাওয়া ভালো। এছাড়া অল্প চিড়া ও দইও বেশ উপকারী। এটি গরমের রমজানে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দুধে ভেজানো ওটমিলও খাওয়া যেতে পারে। দুধে ভেজানো ওটমিল প্রোটিন-সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের জন্য উপকারী। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে বিভিন্নরকম বাদাম বা ফলের টুকরো মিশাতে পারেন। এছাড়া এক বাটি দইয়ে ক্যালসিয়াম, আয়োডিন এবং ভিটামিনের মতো বিভিন্ন পুষ্টিগুণ থাকে। যা কিনা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার জন্য শরীরকে শক্তি সঞ্চার করে।সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে তরমুজ, স্ট্রবেরি, কমলা, টমেটো, শসা, লেটুস, পালং শাক এবং অন্যান্য সবুজ শাক-সবজি ও বিভিন্ন রঙের ফলমূল রাখতে পারেন। যাদের দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা এক গ্লাস দুধের সঙ্গে বাদাম, আখরোট ও চিনাবাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন।