সূর্যগ্রহণ চলছে

0

ঢাকা অফিস: আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকালে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই সূর্যগ্রহণ পূর্ণ গ্রহণ নয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, রিং অব ফায়ার। আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, ঢাকায় বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা চার মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে। যেহেতু সূর্য উঠেছে সেহেতু আংশিক দেখা যেতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী এফ আর সরকার বলেন, ‘আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বাংলাদেশ থেকে পুরো সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। আংশিক দেখা যাবে।’ তিনি খালি চোখে সূর্যগ্রহণ না দেখার পরামর্শ দেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল থেকে জাদুঘরের ছাদে দুটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময়  দুপুর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে। এমনিতেই বাংলাদেশ থেকে আংশিক দেখতে পাওয়ার কথা। তবে আকাশ মেঘলা থাকলে দেখা কষ্টকর হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজকের যে সূর্যগ্রহণ, তাকে বলা হয় এনুলার। এটি পূর্ণ গ্রহণ নয়, অনেকটা রিংয়ের মতো চারদিক দিয়ে আলো বের হবে। এটিকে বলয়গ্রাস বলা হয় বাংলায়। চাঁদ পৃথিবী থেকে ২ লাখ ২২ হাজার মাইল থেকে দুই লাখ ৫২ হাজার মাইল দূরে চলে যায়। যখন চাঁদ কাছে থাকে, তখন সূর্যগ্রহণ পূর্ণ হয়, আর যখন চাঁদ দূরে যায়, তখন গ্রহণ পূর্ণ হয় না, কারণ চাঁদ তখন সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না। এবার চাঁদ অনেক দূরে চলে গেছে। পুরো ঢাকতে পারবে না। ঢাকবে তবে তার চারদিক দিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাবে। রিংয়ের মতো দেখা যাবে।’ এফ আর সরকার জানান, বাংলাদেশে বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে। তিন মিনিট স্থায়ী হবে রিংটি। শেষ হবে দুপুর ১টায়। তিনি জানান, সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ১০০ মাইল দূর থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা শুরু হবে। আমিরাত, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ পর্যন্ত গিয়ে এই গ্রহণ শেষ হবে। সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাংলাদেশের আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে তাহলে কিছুটা দেখা যাবে। তিনি জানান, ২০২০ সালের ২১ জুন আবার এই ধরনের সূর্যগ্রহণ হবে। প্রতিবছর না হলে এক বছর পরপর এই গ্রহণ হয়। এদিকে এই সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে ক্যাম্পের আয়োজন করেছে আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকেই জাদুঘরের ছাদে দুটি টেলিস্কোপ দিয়ে এই সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Share.