লাইফস্টাইল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষেরও কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউন চলছে দেশে। দেশের সকল নাগরিকের উচিত এই লকডাউনকে সফল করা। এদিকে যে সকল মানুষের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তা নিয়ে আতঙ্কিত না হতে বলা হচ্ছে সবাইকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, যারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললেই করোনা থেকে স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব। আর গুরুতরদের ক্ষেত্রে দেশে চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।করোনার লক্ষণ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে। যে সকল বিধিনিষেধ দিবে তা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে রোগীকে সেল্ফ আইসোলেশনসহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে খুবই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এবার তাহলে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা যাক-
সেল্ফ আইসোলেশনের নিয়ম : করোনার লক্ষণ দেখা গেলে বা চিকিৎসক সেল্ফ আইসোলেশনের কথা বললে একটি ফাঁকা ঘরে থাকা শুরু করুন। চিকিৎসা কিংবা অন্যান্য বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া বাইরে বের হবেন না। কোনো করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসার পরও এমনটা করবেন না। পরিবারের কাউকে আপনার সান্নিধ্যে আসতে দিবেন না। এভাবে অন্তত ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকুন।
যা খেয়াল রাখা জরুরি : সেল্ফ আইসোলেশনের জন্য এমন একটি কক্ষ নির্বাচন করুন যেখানে সহজেই বাইরের কেউ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে আপনাকে খাবার সামগ্রীসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে। হাঁসি-কাশির সময় অবশ্যই নাকে-মুখে রুমাল বা কোনো কাপড় ধরবেন। পরে রুমাল বা সেই কাপড় অবশ্যই ধুয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে মাস্ক পরার বিকল্প কিছু নেই। বাড়ির কারো কিছু ব্যবহার করবেন না এবং আপনার ব্যবহার করা কোনো জিনিসও তাদের ব্যবহার করতে দিবেন না। কারো সংস্পর্শ হলেই সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন।
বাথরুমের ব্যবহার : সেল্ফ আইসোলেশনের সময় রোগীর জন্য পৃথক একটি শৌচালয়ের ব্যবস্থার প্রয়োজন। আর যদি পরিবারের সব সদস্য একই বাথরুম ব্যবহার করেন তাহলে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিজের টাওয়েল, ব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি। প্রতিবারই বাথরুম ব্যবহারের পর বাথরুম ফ্লাশ করতে হবে। এছাড়া অন্য যে সকল সদস্য বাথরুমে যাবেন তাদের শুরুতেই কয়েক মগ পানি ঢেলে নেয়া উচিত।