বাংলাদেশ থেকে নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। শনিবার (২৩ জানুয়ারী) উদ্বোধনী দিনে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার উপকারভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন। এদিন কামারপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকাটি করা হয় সুসজ্জিত । উৎসবের আমেজ ছিল গোটা এলাকা জুড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, আমার খুব ইচ্ছে ছিল নিজ হাতে আপনাদের জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দিব। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জন্য হল না। দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই এভাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের সরকার প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এদেশের সব মানুষেরই ঠিকানা হবে। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি উপস্থিত উপকারভোগী আরজিনা খাতুনের সাথে
সরাসরি কথা বলেন। এসময় আরজিনা খাতুনের দু’চোখ আবেগাপ্লুত হয়ে অশ্রু সিক্ত হয়ে পড়ে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মোর মত অসহায় ভূমিহীন কোন দিন এ্যাংকা পাকা বাড়ি বানের পানু না হ্যায়। তোমরা মোক থাকার যে ব্যবস্থাখান করি দিলেন আল্লাহ তোমার ভাল কইরবে। ওই উপকারভোগীর অনুরোধে প্রধনমন্ত্রী একটি ভাওয়াইয় গান শোনেন।
অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দেয়া ৩৪টি ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প ও উপভোগীদের সম্পর্কে অবহিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাংসাদ রাবেয়া আলীম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াব ভূইঞা, নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত, এ জেলায় ৬৩৭ জন অসহায় ও গৃহহীনরা পেয়েছে তাদের মাথা গোজার ঠাঁই। জমি নেই, ঘর নেই এমন পরিবারের জন্য শেখ হাসিনার পছন্দ করা নকশায়
নির্মাণ করা হয়েছে এ প্রকল্পের বাড়ি। প্রতিটি ঘরে থাকছে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি লম্বা বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট। এসব ঘরের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর তৈরীতে ব্যয় ধরা
হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
সৈয়দপুরে ৩৪টি পরিবার পেল পাকা ঘর, উপকারভোগীদের সাথে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী
0
Share.