সোনারগাঁওয়ে স্কুলছাত্রকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের

0

বাংলাদেশ থেকে  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বড়নগর এলাকায় তৌহিদ হোসেন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার মোগরাপাড়া বাজার সংলগ্ন বড়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ কিশোর গ্যাংকে গ্রেপ্তার করতে কোন অভিযান চালায়নি। স্কুলছাত্র তৌহিদ হোসেন মাধবপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী লিটন মিয়ার ছেলে। সে মোগরাপাড়া এইচ, জি, জি, এস স্মৃতি সরকারি বিদ্যায়াতনে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। জানা যায়, রাতে তারাবি নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে মোগরাপাড়া বাজার সংলগ্ন বড়নগর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মো. শান্ত ও প্রীতম দাসের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মো. শান্ত তৌহিদকে ধারালো ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রের চিৎকারে অন্য মুসল্লিরা এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাংয়রে সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে সোনারগাঁও উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হতে মোগরাপাড়া পুরাতন বাজারের আশপাশের প্রায় ৮টি গ্রামের ক্ষমতাসীন নেতাদের সহায়তায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি এই কিশোর গ্যাংটি স্কুল ও কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ইভটিজিং এবং প্রতিনিয়তই মানুষের সঙ্গে মারামাটিসহ এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক সেবন করছে নির্বিঘ্নে। এদিকে হামলার শিকার স্কুলছাত্র তৌহদিরে মামা সাংবাদিক হাজী মো. শফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতেইে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে রহস্যজনক কারণে ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কোন অভিযান চালাননি। এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের এসআই মাসুদ আল ফারুক রানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Share.