স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ইন্টারনেটে ভিডিও প্রকাশ, থানায় মামলা

0

বাংলাদেশ থেকে নেত্রকোণা প্রতিনিধি:  প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় নেত্রকোণার পূর্বধলা থানায় অভিযুক্ত যুবক ও তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে প্রকাশ, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার হত-দরিদ্র দিনমজুরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তারই প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী দুলাল মিয়ার পুত্র ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক সুজল মিয়ার। উক্ত ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে সুজল তাকে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করতো। এক পর্যায়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্প্রতি বেড়ানোর কথা বলে দুর্গাপুরের কদমতলী এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে সুজল মিয়া তার মোবাইলে উক্ত ছাত্রীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। সুজল তার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে উক্ত ছাত্রী তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজল দুই দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রীর ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই হতদরিদ্র দিনমজুরের পরিবারটি লোক লজ্জার ভয়ে বাড়িঘর থেকে বের হতে পারছে না। এ ব্যাপারে ভিকটিমে বড় বোন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা চার বোনের মধ্যে তিন বোনের আর্থিক সহায়তায় আদরের ছোট বোনকে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। এ ঘটনায় আমাদের মান সম্মান আর কিছুই থাকলো না। ভিকটিমের বৃদ্ধ বাবা ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজুয়ানুর রহমান রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমি ওসি সাইফুল ইসলামকে যত দ্রুত সম্ভব আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছি।

 

Share.