বাংলাদেশ থেকে খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ইটের আঘাতে স্কুল ছাত্র শুভ হাওলাদারকে (১১) হত্যায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সজল ব্যাপারী (১৭), রাকিব (২০) ও জাহিদ (১৮)। এর মধ্যে মঙ্গলবার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সজল মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, হত্যার দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে শুভ ও সজল ব্যাপারী প্লাস্টিকের বোতল কুড়াচ্ছিল। এসময় সজল ব্যাপারীকে ‘হিজড়া’ বলায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে মাথায় ইটের আঘাতে শুভর মৃত্যু হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্থান থেকে শুভকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল সজল। কিন্তু না পেরে সেখানেই দেওয়ার পাশে রেখে পালিয়ে যায়। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মধুপুর গুচ্ছগ্রাম থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ সজল ব্যাপারীকে (১৫) গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সোমবার রাত ৯টার দিকে মামলার এজহারভুক্ত আসামি মো. জাহিদকে (১৮) ও পরে রাকিবকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। গত রোববার দুপুরে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজের ১৪ নম্বর রোডে একটি মাঠ থেকে শুভ হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মাথা, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে ইটের আঘাত পাওয়া যায়। সেখান থেকে রক্তমাখা একটি ইট উদ্ধার করা হয়। ইব্রাহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে নিহত শুভ হাওলাদার নগরীর আনিস বিশ্বাস আদর্শ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনায় রোববার রাতে শুভ হাওলাদারের মা ঝুমুর বেগম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করে বস্তির একটি ঘর থেকে রক্তমাখা গেঞ্জি ও প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।