ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ ঘটেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সচেতনতার নিমিত্ত হ্যান্ড সেনিটাইজার এর ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বাজারে এর সরবরাহ কম থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে উৎকন্ঠা বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল ওহাবের উদ্যোগে বারি’র ল্যাব বিজ্ঞানীগণ স্থানীয়ভাবে তৈরি করেছেন হ্যান্ড সেনিটাইজার। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের পেস্টিসাইড এ্যানালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরি (কৃষি মন্ত্রণালয়ের একমাত্র অ্যাক্রিডেটেড ল্যাবরেটরি), পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজী বিভাগের এনালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের ল্যাবরেটরিতে কর্মরত বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে স্থানীয়ভাবে হ্যান্ড সেনিটাইজার ল্যাবরেটরিতে তৈরির জন্য সোমবার একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত কমিটি হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরির সকল রাসায়নিক দ্রব্যাদি সংগ্রহ করেন এবং ল্যাবরেটরিতে স্থানীয়ভাবে হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি করেন। পরে এ হ্যান্ড সেনিটাইজার নিরাপদভাবে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বারি’র প্রধান কার্যালয়ের সকল কেন্দ্র ও বিভাগে সরবরাহ করা হয়। বিজ্ঞানীরা জানান, আইসোপ্রোপাইল এ্যালকোহল (৯৯.৮%) ৭৫২ মি.লি. + হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (৩%) ৪২ মি.লি. + গ্লিসারল (৯৮%) ১৫ মি.লি. + ডিসটিল্ড ওয়াটার ১৯১ মি.লি. একত্রে মিশিয়ে ১ লিটার হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রস্তুত করা যায়। আইসোপ্রোপানলের পরিবর্তে ইথানল (৯৬%) ৮৩৩ মি.লি. ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে ডিসটিল্ড ওয়াটার ১৯১ মি.লি. এর পরিবর্তে ১১০ মি.লি. যোগ করতে হবে। অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ একই থাকবে। এ পদ্ধতিতে যেকোন ব্যাক্তি হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি করতে পারবে। এ ফরমুলেশনে তৈরি হ্যান্ড সেনিটাইজার নিরাপদ ও সহজলভ্য। বাজারে হ্যান্ড সেনিটাইজার এর স্বল্পতার এই সময়ে বারি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়ভাবে বারি’র ল্যাব বিজ্ঞানীরা তৈরী করেছে হ্যান্ড সেনিটাইজার
0
Share.