ডেস্ক রিপোর্ট: ইউরোপের চতুর্থ দেশ হিসেবে এবার স্পেনেও স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দেওয়া হলো। নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতির মুখে পড়লেই এই স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করা যাবে।স্পেনের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্র এবং বামপন্থী দলগুলির সমর্থন নিয়ে আইনটি অনুমোদন করেছেন।এই আইন অনুযায়ী পূর্ণবয়স্ক কোনো ব্যক্তি যদি মারাত্মক কোনো রোগে আক্রান্ত হন যা নিরাময়ের অযোগ্য এবং সেই রোগকষ্ট যদি ওই ব্যক্তির পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না হয় তবেই সে স্বেচ্ছা বা ইচ্ছেমৃত্যুর আবেদন করতে পারবেন।আগামী জুন মাস থেকে এই আইন কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।আইনটি পাস হওয়ার আগে, স্পেনে কাউকে মরতে সহায়তা করা হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান ছিল।আইনটি পাস হওয়ার পরপরই স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ এক টুইটবার্তায় বলেন, আজ আমরা এমন একটি দেশে পরিণত হয়েছি যা আরও মানবিক, সুন্দর ও মুক্ত। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ ইচ্ছেমৃত্যুর দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে এই অধিকার পেলেন তারা।যদিও এই আইনের বিরোধিতা করেছে দেশটির কনজার্ভেটিভ পার্টিসহ ধর্মীয় দলগুলো।নতুন করে স্পেন ছাড়া বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, কানাডা এবং কলম্বিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ করা হয়েছে।পর্তুগালের সংসদেও ইউথেনেশিয়া কিংবা স্বেচ্ছামৃত্যু সংক্রান্ত আইন পাসের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে দেশটির শীর্ষ আদালত সেই আইন পাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।তবে এই স্বেচ্ছামৃত্যুর আইন অবশ্য বেশ জটিল। রোগীকে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট চারবার আবেদন জানাতে হবে। আবার কোনো চিকিৎসক যদি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না চান তো তাকে বাধ্যও করা যাবে না।
স্পেনেও স্বেচ্ছামৃত্যু চালু
0
Share.