ডেস্ক রিপোর্ট: নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। গত মে মাসে দেশটিতে গণপরিবহনে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়। পরে তা দেশব্যাপী সব উন্মুক্ত স্থানের জন্য বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়।স্পেনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনসমক্ষে ধূমপান নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গত জুনের শেষের দিকে তিন মাসের লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকে স্পেনে ফের করোনা শনাক্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটির ২৮ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।এর আগে গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জায়গায় মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অনেককে প্রকাশ্যে জনসভা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে মাস্কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেও দেখা গেছে। এমনকি মাস্ক না পরার জন্য ভুয়া ছাড়পত্রও বাজারে বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছিল।মাস্ক পরা নিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, মাস্ক পরার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়, ফুসফুসে অক্সিজেনের চলাচল কমে যায়, কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু বাস্তবে এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায় এমন জিনিস দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক যদি ঠিকমতো পরা হয়, তা শরীরের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।
স্পেনের রাজধানীতে মাস্কবিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভ
0
Share.