ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বিদেশি শক্তির মদদে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত এখনো অব্যাহত আছে। তিনি এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন। শেখ হাসিনা বলেন, এখনো যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি ও ১৫ আগস্টের খুনিরা, যাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তাদের সন্তানরা, যুদ্ধাপরাধীদের দোসররা এবং তাদের বংশধররা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যে সকল আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, তাদের কিছু কিছু এখনো এদের মদদ দিয়ে থাকে। কাজেই এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনেই- মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বা যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সবসময় ছাত্ররাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলতে চাইলেও পারেনি; ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর নামও সারাবিশ্ব জানে। আর কারো পক্ষে এগুলো মুছে ফেলা সম্ভব না। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমরা তার (জাতির পিতার) আদর্শ নিয়ে লক্ষ্য স্থির করে চলেছি। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান এমপি। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বাৎসরিক প্রকাশনা ‘জন্মভূমি’ এবং ‘জয় বাংলা’- ম্যাগাজিনের (২য় সংস্করণ) মোড়ক উন্মোচন করেন।
স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
0
Share.