ঢাকা অফিস: মুক্তাগাছা পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন স্বামী-স্ত্রী। অতীতের ধারা অব্যাহত রাখতে এবারও কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে জয়ী হতে চান স্বামী-স্ত্রী। সে লক্ষে এবারও তারা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাদের পূর্বের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে চান দুজনেই। স্বামী মির্জা আবুল কালাম সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উটপাখি প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।আর তার স্ত্রী মিসেস আসমা আক্তার চশমা প্রতীক নিয়ে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন। দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র পদে, কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন পাঁচজন। এ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর পদে মির্জা আবুল কালাম উটপাখি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি এবারও জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এর আগে তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে চার বার এ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু একবার তিনি সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তার সঙ্গে তার স্ত্রী ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা আসনে আসমা আক্তার চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন। এর আগে তিনি টানা তিনবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিজয়ী হয়েছেন। এবারও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। জয়ী হওয়ার আশা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন তিনি।ইশ্বরগ্রামের বাসিন্দা খুদেজা বেগম বলেন, সুখে- দুঃখে সবসময় তারা এলাকাবাসীর খোঁজ-খবর নেন। বিশেষ করে মিসেস আসমা আক্তার স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকা নিয়ে সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থেকে সেবা করে আসছেন। অসুস্থ রোগীর পাশে তিনি দৌড়ে যান। এ কারণেই তারা বারবার আসমা আক্তারকে ভোট দেন।একই এলাকার বাসিন্দা চায়ের দোকানদার জামাল উদ্দিন বলেন, গরিব, দুঃখী মানুষের বন্ধু মির্জা আবুল কালাম। এ কারণেই তিনি বারবার কাউন্সিলর পদে জয়ী হন। তারা স্বামী-স্ত্রী সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকেন। এবারও তারা ভোট দেবেন।কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা আবুল কালাম এবারও জয়ী হওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি সবসময় এলাকাবাসীর সঙ্গে রয়েছেন। আজীবন থাকবেন। এজন্য তাকে মানুষ বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন।আসমা আক্তার তিনিও বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোটাররা তাকে ভালোবাসেন। যেকোনো বিপদে তারা আমাকে তাদের কাছে পান। এজন্যই তিনি এবারও জয়ী হবেন।
স্বামীর বিরুদ্ধে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন স্ত্রী
0
Share.