ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে বলেছেন, চীনের কাছ থেকে এখন আর স্বায়ত্তশাসনে নেই হংকং। হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল, তা নষ্ট হবে। এতে হংকং যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, তা হুমকিতে পড়বে।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ, চীনের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে নিয়ে বিরোধ ও করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে এমনিতেই সম্পর্ক উত্তেজনাকর। তার মধ্যে হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন করছে চীন। জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। এসবই হংকংকে চীনের মুঠোয় নেয়ার পদক্ষেপ। এর ফলে হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারাবে বলে উদ্বেগ চারদিকে। বলা হচ্ছে, মুক্তভাবে কথা বলার স্বাধীনতা হারাবে ওই শহরের মানুষ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে হংকংয়ে।হংকং নিয়ন্ত্রণে চীনের প্রস্তাবিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন নিয়ে পম্পেও বলেন, একের পর এক কার্যকলাপের মাধ্যমে হংকং’র স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্তশাসনকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকে মনে করছেন, পম্পেওর এমন বক্তব্যের অর্থ, যুক্তরাষ্ট্রের করার কিছুই নেই।বর্তমানে চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে আরো বেশি গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা রয়েছে হংকংয়ে। গণতন্ত্রপন্থীদের আশঙ্কা, চীন যেভাবে কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধীদের দমন করে, সেভাবেই বিক্ষোভ দমন করতে এ আইন ব্যবহার করা হতে পারে।এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়া হলে তিনি কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পম্পেওর এই বক্তব্যের পর কী হতে চলছে, তা নিয়েই সন্দেহ জাগছে রাজনৈতিক মহলে।এদিকে, হংকংয়ে চীন বিরোধী নতুন আন্দোলন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক শত মানুষকে আটক করেছে পুলিশ।
হংকং এখন আর স্বায়ত্তশাসনে নেই:মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
0
Share.