ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের নাম ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। এ জাহাজটি টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুণ বড়। সিনেমার কারণে টাইটানিক জাহাজের নাম কমবেশি সবারই জানা। একসময় টাইটানিক ছিল জানামতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ। কিন্তু সেই দিন শেষ। এখন টাইটানিকের চেয়ে বড় জাহাজের অভাব নেই। তাই বলে টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুণ বড় জাহাজ? কল্পনা করাও বেশ কষ্টকর।প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ ততই আধুনিক আর বড় বড় জাহাজ তৈরি করে চলেছে। একসময় যা ছিল মানুষের কাছে কল্পনা আজ সেটাই বাস্তব। টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুণ বড় এই জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিজ’কে বলা হচ্ছে, ভাসমান মহানগরী। বিশ্বে এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় ও ভারী জাহাজ এটি। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর থেকে চোখ ধাঁধানো হারমনি অব দ্য সিজ-এর উদ্বোধন করা হয়। হারমনি অব দ্য সিজ যেন সমুদ্রের মধ্যে আরেক পৃথিবী। ভূমধ্যসাগর বা ক্যারিবিয়ানে ছুটিছাটায় সবচেয়ে বেশি বিনোদন দিতে জাহাজটি আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি। ১ হাজার ১৮৭ ফুট লম্বা ও ২৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৬ হাজার ৭৮০ জন যাত্রী বহন করতে পারে।জাহাজটির নির্মাণে কাজ করেছেন মোট ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক। রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ হারমনি অব দ্য সিজ নির্মাণ খাতে ব্যয় হয়েছে ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এর প্রথম বিশেষত্ব হল যাত্রী ধারণক্ষমতা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রমণ জাহাজ এটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জেট এয়ারবাস এ৩৮০-তে সিটের সংখ্যা ৫২৫টি।‘হারমনি অব দ্য সিজ’ তার চেয়েও দশগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে পারে। দ্রুততার দিক থেকে জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছোটে। এতে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। এর মধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে ২ হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমানে যে কোনো জাহাজের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এত বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যান সে জন্য তাদের জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়।দুটি তলা নিয়ে বিস্তৃত জাহাজের সিগনেচার রুমটিকে রয়েল লফট স্যুট বলা হয়। রয়েল লফট স্যুটের প্রথম তলায় রয়েছে ১ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের লিভিং স্পেস। অন্যদিকে ৮৭৪ স্কয়ার ফুটের দ্বিতীয় তলাটি শহরের বড় কোনো অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও অনেক বড়।
‘হারমনি অব দ্য সিজ’ এ জাহাজটি টাইটানিকের চেয়েও ২০ গুণ বড়
0
Share.