ঢাকা অফিস: দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় দুইদিনের ব্যবধানে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। পেঁয়াজ আমদানির এমন ধারা অব্যাহত থাকলে আসন্ন রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন হিলি স্থবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, ৩৬দিন বন্ধের পর বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও প্রথমদিকে আমদানির পরিমাণ কম ছিল। বর্তমানে শবেবরাত ও রমজান উপলক্ষে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।দুদিনের ব্যবধানে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে ৩০-৩১ টাকা থেকে কমে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৬-৩৭ টাকা থেকে কমে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতের নতুন জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা জানান, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি প্রদানের বিষয়টি শিথিল ও সহজ করা হলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়বে। এতে আসন্ন রমজানে দেশে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে।পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। সম্প্রতি পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ায় ভারত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর ২ জানুয়ারি থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমের কারণে পড়তা না থাকায় ২৭ জানুয়ারি থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি আবারও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বাড়ায় হওয়ায় ৪ মার্চ থেকে আমদানি শুরু হয়।হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের দুই কর্মদিবসে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩৭ ট্রাকে ১ হাজার ১৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।