শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

১০ ধাপ গণতন্ত্র সূচকে পিছিয়েছে ভারত

0

ডেস্ক রিপোর্ট: গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ পিছিয়েছে ভারত। ২০১৮ সালে ৪১তম অবস্থানে থাকলেও ২০১৯ সালে প্রতিবেশী দেশটির অবস্থান ৫১তম। বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি ভূখণ্ডে গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে গতকাল সূচকটি প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ২০১৯ সালে গণতন্ত্র সূচকে চার ক্যাটাগরির মোট ১০ স্কেলে ভারতের সামগ্রিক নম্বর ৬ দশমিক ৯। তবে ২০১৮ সালে ভারতের সামগ্রিক নম্বর ছিল ৭ দশমিক ২৩। ভারতে নাগরিক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এই অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ বলে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার সুযোগ ও স্বাধীনতা, রাজনীতি মনস্কতা এবং নাগরিক স্বাধীনতা-এই পাঁচটি মাপকাঠির বিচারে তৈরি করা হয় সূচকটি। ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিচারে সামগ্রিক নম্বর অনুযায়ী তালিকাভূক্ত দেশগুলোকে মোট চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। সূচকে ১০ স্কেলের মধ্যে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮-এর বেশি হলে সে দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে হলে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র। আর স্কোর ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে হলে মিশ্র শাসন বা হাইব্রিড রেজিম ধরা হয়েছে। স্কোর ৪ এর নিচে হলে দেশটিতে স্বৈরশাসন চলছে বলে ধরা হয়। উল্লিখিত চার ক্যাটাগরির মধ্যে ভারতকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ এবং উপত্যকায় ইন্টারনেট বন্ধ, হাজার হাজার সেনা মোতায়েন ও গণহারে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এবারের সূচকে ২ দশমিক ২৬ সামগ্রিক নম্বর নিয়ে চীনের অবস্থান ১৫৩তম। প্রতিবেশী দেশগেুলোর মধ্যে সামগ্রিক নম্বর ৪ দশমিক ২৫ নিয়ে পাকিস্তান ১০৮ এবং ৬ দশমিক ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ৬৯তম অবস্থানে রয়েছে। তবে এবারের সূচকে আট ধাপ এগিয়ে ৫.৮৮ নম্বর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৮০তম। গণতন্ত্র সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্থানে আইসল্যান্ড এবং সুইডেন। প্রথম দশে বাকি দেশগুলো হলো নিউজ়িল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজ়ারল্যান্ড। এছাড়া ৮ দশমিক ৫২ নম্বর নিয়ে যুক্তরাজ্য ১৪তম এবং ৭ দশমিক ৯৬ নম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ তম অবস্থানে রয়েছে। ১৬৭তম অবস্থানে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান সবার শেষে।

Share.