স্পোর্টস ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে ব্যতিক্রম এক নজির গড়লেন কাতারের মুতাজ ঈসা বারসিম আর ইতালির জিয়ানমার্কো তামবেরি। ১৯১২ অলিম্পিকের ১১৩ বছর পর রোববার (১ আগস্ট) ফের স্বর্ণপদক ভাগাভাগি দেখল বিশ্ব।এদিন, তিনজন ২ দশমিক ৩৭ মিটার উঁচুতে লাফ দিয়েছিলেন। ঈসা বারশিম ও তামবেরি ২ দশমিক ৩৭ মিটার উঁচুতে লাফ দিলেও আটকে যান ২ দশমিক ৩৯ মিটার লাফ দিতে গিয়ে। তাও আবার দু’জনই আটকে গেছেন তিনবার করে। দু’জনকে কোনোভাবেই আলাদা করা যাচ্ছিল না।
নিয়ম অনুসারে, খেলায় সাম্যাবস্থা শেষ না হলে খেলা গড়াবে টাইব্রেকারে। কিন্তু টাইব্রেকারের প্রস্তাব নাকচ করে দেন এই দুই অ্যাথলিট। সোনার দাবি নিয়ে আসেন দু’জনই।অফিসিয়ালকে মুতাজ অনুরোধ করলেন, ‘আমরা কি দুটি সোনা পেতে পারি?’ ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। তামবেরির সঙ্গে সোনার পদক ভাগাভাগি করে নিতে কোনোই সমস্যা নেই তার। অফিসিয়ালও বললেন, ‘সেটা সম্ভব’। এসময় জিয়ানমার্কো শুধু সায়ই দিলেন না, মুতাজের হাতে হাত মেলালেন, তাকে গিয়ে জড়িয়েই ধরলেন। শুধু তাই নয়, দুবার গড়াগড়ি খেলেন, চিৎকারও করলেন। সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হলো নতুন কীর্তি।অফিসিয়ালদের কাছে এমন প্রস্তাব রাখার আগে, দু’জন ব্যাপারটা নিয়ে একবারও কথা বলেননি, কোনো আলোচনাই করেননি। প্রতিদ্বন্দ্বীর মতো আবেগ ঘিরে ধরেনি মুতাজকে। কিন্তু অলিম্পিক পদকের গুরুত্বটা বোঝেন কাতারি এই অ্যাথলিট।তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এখানে আসাটা, এখানের পারফর্ম্যান্সটার পর মনে হয়েছে আমি এই সোনা জেতার যোগ্য। সেও এমন কিছুই করেছে, আর তাই আমিও জানি, সে কম যোগ্য নয়।’এ ইতিহাসের দিনে নেদাসেকু ম্যাক্সিম ছিটকে গেলেন আগের লড়াইয়ের মাপকাঠিতে। স্বাভাবিকভাবেই রৌপ্য পদক দেওয়া হয়নি কাউকেই। তাই ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ম্যাক্সিমকে।অন্যদিকে, এদিনই (আসরের নবম দিন) শেষ হলো বাংলাদেশের টোকিও অলিম্পিক যাত্রা। ঘুচল না লাল সবুজের ৪০ বছরের আক্ষেপ। কোনো পদক ছাড়াই দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের অ্যাথলিটরা। ছয় অ্যাথলিটের ৩ জনের পারফরম্যান্স ব্যর্থতায় মোড়ানো হলেও, বাকি ৩ অ্যাথলিট নিজেদের ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স করেছেন এই অলিম্পিকেই।
১১৩ বছর পর স্বর্ণ পদক ভাগাভাগি দেখল বিশ্ব
0
Share.