ঢাকা অফিস: চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ)-এর দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের ১৪ নাগরিকের সঙ্গে কাবুল থেকে চট্টগ্রামে ফিরছেন। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্থানে আটকে পড়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বিশেষ ওই ফ্লাইট সরাসরি চট্টগ্রামে অবতরণ করার কথা। আফগান ওয়্যারলেসের প্রকৌশলী রাজীব বিন ইসলামের ওই ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে কাবুল থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তবে এই বিশেষ বিমানটি কখন কাবুল থেকে যাত্রা করবে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। এর আগে গেল রোববার আফগানিস্তানে আটকে পড়া ২৯ বাংলাদেশির মধ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কর্মরত ফারুক হোসেন ও মহিউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ সি-১৭-এর একটি ফ্লাইটে কাবুল থেকে কাতারে যান। একই দিনে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের তিন কর্মকর্তাকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাবুল থেকে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আফগানিস্তানের মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আফগান ওয়্যারলেসের পিএবিএক্স অ্যান্ড কন্ট্যাক্ট সেন্টারের প্রধান রাজীব বিন ইসলাম জানান, তালেবান এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর অনুমতির অপেক্ষায় আমরা। তাদের অনুমতি ছাড়া বিমানবন্দরের দিকে যাত্রার সুযোগ নেই। যদিও আমাদের ভোর ছয়টার আগেই বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। রাজীব বিন ইসলাম জানান, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসের তত্ত্বাবধানে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দপ্তর এবং চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন তাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ইউনিভর্সিটি সূত্রে জানা যায়, এইউডব্লিউতে ১৭০ জনের বেশি আফগান শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এই শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরে যায়। কিছুদিন ধরে তারা পুনরায় নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর এই আফগান শিক্ষার্থীরা নিজ দেশে আটকা পড়ে। কাবুলের পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। একটি বিশেষ বিমানে কাবুল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন তারা। তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি আফগানিস্তানের লোকজনও দেশ ছাড়ছেন। আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনও দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস সমদূরবর্তী মিশন হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ করে থাকে। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ২৯ জন বাংলাদেশির আটকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জন এরই মধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।
১৪ বাংলাদেশির সঙ্গে ফিরছেন দেড়শতাধিক আফগান শিক্ষার্থী
0
Share.