১৫ বছর বয়সেই ধর্ষণ শুরু ২৬ বছর বয়সেই ৪৮ নারীকে ধর্ষণ

0

ঢাকা অফিস: কখনো প্রেমের ফাঁদে ফেলে আবার কখনো টাকার বিনিময়ে ২৬ বছর বয়সেই ৪৮ নারীকে ধর্ষণ করেছেন জসিম উদ্দিন রানা। মিথ্যা কাবিন বানিয়ে বিয়ে করেছেন দুটি। মিথ্যা সংসারে প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান। আর এখন দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পুলিশ হেফাজতে বন্দি তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে বিকৃত যৌন লালসায় পড়ে ধর্ষণ শুরু করেন বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকারসহ ধর্ষণের এমন চাঞ্চল্যকর কথা জানিয়েছেন জসিম উদ্দিন রানা (২৬)। ধর্ষণসহ একের পর এক অপকর্মের অপরাধে পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। জসিম উদ্দিন রানা বরগুনার পাথরঘাটা থানার পদ্মা করমজাতলা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। নিজের আসল পরিচয় গোপন করে এবং ছদ্মনামে গত চার বছরে দুটি মিথ্যা বিয়েসহ ৪৮ নারীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। ৫ মার্চ রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করেন রানা। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বরগুনায় রানার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত স্ত্রী সুরভী আক্তার (১৯) মাদারীপুরের সদর থানাধীন চরমুগুরিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। রানা জানিয়েছেন, ‘সুরভি নকল বিয়ে ও তার বহু নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি টের পেয়ে আসল কাবিন করতে চাপ দেন। অন্যথায় তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার হুমকি দেন। এতে ঘাবড়ে গিয়ে রানা সুরভীকে বৃহস্পতিবার রাতে কোকাকোলার সঙ্গে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন। পরে লাশ ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে বরগুনায় পালিয়ে যান। এসময় সুরভীর বাবা দেলোয়ার হোসেনকে মোবাইলে তার মেয়ের মৃত্যুখবর জানান।’ স্বীকারোক্তিতে রানা আরও জানান, ‘১৫ বছর বয়স থেকেই তার বিকৃত যৌন লালসা শুরু হয়। তিনি স্কুলজীবন থেকেই বিভিন্ন নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করতেন। এ কারণে এলাকাছাড়া হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতেন। তবে যেখানেই যেতেন সেই এলাকার বিবাহিত-বিধবা অথবা কিশোরীদের মায়াজালে ফেলে ধর্ষণ করতেন।’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জের ভোলাব তদন্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কাঞ্চন দক্ষিণ বাজার এলাকার মনির মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া জসিম উদ্দিন রানা তার স্ত্রী সুরভী আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সুরভীর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বরগুনার পাথরঘাটা থানাধীন পদ্মা করমজাতলা এলাকায় রানার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

Share.