ডেস্ক রিপোর্ট: তুরস্কের দৈনিক হুরিয়েত জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সৌলু। ওই অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একজন ধর্মীয় প্রচারক এবং ব্যবসায়ীকে দায়ী করে তুরস্ক। এমন এক সময় তুরস্ক এই অভিযোগ তুললো যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে আঙ্কারা।আঙ্কারার এমন অভিযোগ তাৎক্ষণিক ও কড়াভাবে নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমন অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’।ওই সেনা অভ্যুত্থানের জন্য ফেতুল্লাহ গুলেনকে শুরু থেকেই দায়ী করে আসছে আঙ্কারা। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের এক সময়ের এই মিত্র এখন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় থাকেন। কিন্তু ওই অভ্যুত্থানের পর ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের (ফেতো) বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। যদিও গুলেন ওই অভ্যুত্থানের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।হুরিয়েতকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌলু বলেন, আমেরিকার পরিচালনায় গুলেনের নেটওয়ার্ক এই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল। এই অভ্যুত্থানের ব্যাপারে ‘ইউরোপ উত্সাহী ছিল’ বলেও মন্তব্য করেছেন সৌলু। তবে অভ্যুত্থান নিয়ে এই বক্তব্য নিজের বলেও উল্লেখ করেছেন তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। তাদের নির্দেশে ফেতো ওই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই এরদোয়ান এবং তার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করা হয়। ওই সময় সেনাবাহিনী কিছু সদস্য যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ট্যাংক নিয়ে সরকারি বিভিন্ন ভবন দখল করে নেয়। তবে তুর্কি জনতার প্রতিরোধে সেই অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১৬ সালের সেনা অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত: তুরস্ক
0
Share.