ঢাকা অফিস: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই হুমকির মুখে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ দেশই যখন প্রবৃদ্ধিতে বিশাল ধসের আশঙ্কা করছে, তখন অনেকটাই স্রোতের বিপরীতে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত দেশের প্রবৃদ্ধি হতে চলেছে অন্তত ৬ থেকে ৭ শতাংশ, যা হবে করোনা সংকটে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বৃহস্পতিবার কানাডার গণমাধ্যম বিএনএন ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান।প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আগের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ বলা হলেও মহামারির কারণে তা কিছুটা কমে গেছে। এর আগের বছর দেশের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।তবে বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এখনই খুব বেশি উচ্ছাসের কিছু নেই। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই পোশাকশিল্প নির্ভর। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও মন্ত্রীর মতো এতটা আশাবাদী নয়। তাদের হিসাবে, ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পরিষ্কারভাবেই প্রবৃদ্ধি অনেক কম, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক কম।আমাদের অগ্রাধিকার বুঝতে হবে। স্বাস্থ্য এখন জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে আগের চেয়েও বেশি বিনিয়োগ দরকার।বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে তৈরি পোশাক থেকে। আর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প গত কয়েকমাস ধরে ব্যাপকহারে ক্রয়াদেশ বাতিল সংকটে পড়েছে।তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা গত মার্চ থেকে প্রায় ৩২০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছে। মহামারি প্রতিরোধে দুই মাসের লকডাউনে অন্যান্য শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, এই মুহূর্তে সবকিছু চালু করা প্রয়োজন। করোনা ভাইরাস আমাদের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। এটা একটা তেতো ওষুধের মতো।আগামী ১১ই জুন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এতে অর্থনীতির অন্যান্য খাতগুলোকে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, সড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে আরো বেশি অর্থ দরকার।
৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি: বিশ্ব অর্থনীতির বিপরীত স্রোতে বাংলাদেশ
0
Share.