ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের অংশ হতে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের আমরাহর বাসিন্দা শিক্ষিকা শবনম। স্বাধীন ভারতে শবনমই প্রথম মহিলা বন্দি যার ফাঁসির আদেশ হয়েছে এবং তা কার্যকর হতে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট তার প্রাণদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে। দেশটির রাষ্ট্রপতিও তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন। ফলে রায় কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না শবনমের।মহিলা অপরাধীদের ফাঁসির জন্যে ১৫০ বছর আগে মথুরা জেলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হলেও কখনও সেখানে কারো ফাঁসি হয়নি। ফাঁসির দিনক্ষণ স্থির না হলেও নির্ভয়া কাণ্ডের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ পৌঁছে গেছে মথুরায়। বক্সার থেকে এসেছে ফাঁসির ম্যানিলা রজ্জুও। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা শবনমের ফাঁসি হওয়া।আমরাহর স্কুল শিক্ষিকা শবনম ডাবল এমএ। ইতিহাস ও ভূগোলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির অধিকারী। প্রেমে পড়েছিলেন গ্রামের দিনমজুর অশিক্ষিত সালিমের। প্রতি রাতে পরিবারের লোকদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তিনি মিলিত হতেন সালিমের সঙ্গে। দুজনের বিয়েতে আপত্তি ওঠায় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলের রাতে শবনম কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে হত্যা করেন বাবা, মা, তিন দাদা, এক বৌদি ও ১০ মাস বয়সী ভাইপোকে। ৭ খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শবনম ও সালিমকে। মূল হত্যাকারী শবনমের ফাঁসির আদেশ হয়। সেই আদেশ এখন কার্যকর হওয়ার পথে।
৭ খুন: স্বাধীন ভারতে প্রথমবারের মতো ফাঁসির মঞ্চে নারী
0
Share.