বাংলাদেশ থেকে ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্য রাতে প্রেমিকের ফোনে সাড়া দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর মামলায় আশরাফুল (২২) ও মতিউর(২০) নামে দুই যুববকে গ্রেফতার করেছে রুহিয়া থানার পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায়। তিনি জানান, বুধবার রাতে পুরাতন ঠাকুরগাঁও বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে রুহিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আশরাফুল পুরাতন ঠাকুরগাঁও এলাকার মোকলেসুরের ছেলে এবং অপর আসামি মতিউর চিলারং বাসগাড়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
উল্লেখ্য, সোমবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার রাতে মেয়েটিকে পুলিশ হাসপাতালে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের হারাগাছ পাড়ায়। এঘটনায় বুধবার সকালে ভূক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের নামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন বলে জানান, মেয়েটির দুলাভাই মো: সোহেল রানা। পাশবিকতার শিকার স্কুল ছাত্রীটির বাবা মো: নূরে হাফিজ জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকের ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় মেম্বার ওই মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সারাদিন বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়ীতে ভুক্তভোগি মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের বেডে কান্নাজড়িত কন্ঠে মেয়েটি জানান, ঘটনার দিন তার প্রেমিক সুজন এর ফোন পেয়ে বাড়ীর সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে। পরে তাকে মটরসাইকেল যোগে একটি মুরগীর খামারের ভিতরে নিয়ে গিয়ে সুজন, আশরাফুল,বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ীর পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে সে কোনরকমে বাসায় পৌঁছায়। এসময় মেয়েটি তার এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানায় সুজনের বাড়ী পুরাতন ঠাকুরগাঁও দেবিগঞ্জে। সুজন ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নিশ্চত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।