মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪

অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ যুব দল

0

স্পোর্টস ডেস্ক: অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। প্রথমবার বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। রবিবার ফাইনালে ভারত যুব দলকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশ যুবারা। বিশ্বকাপের মতো আসরে যা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ক্রিকেট দল করতে পারেনি, শিরোপা জয় করে আনতে পারেনি, বাংলাদেশ যুব দল তা করে দেখিয়েছে। ৪২.১ ওভারে ভারত যুব দলের দেওয়া টার্গেট টপকে যায় বাংলাদেশ যুব দল। অপরাজিত ৪৩ রান করে বিশ্বকাপ জেতান অধিনায়ক আকবর আলী। ভারত যুব দল রানার্সআপ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেফস্ট্রুমে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ যুব দল। পুরো বিশ্বকাপজুড়ে দাপট দেখিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ যুবারা। বিশেষ করে আগে ফিল্ডিং করে রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে অসাধারণ করেছেন তারা। শুধু গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের বিরুদ্ধে আগে ব্যাটিং করে জিতেছে বাংলাদেশ যুব দল। বাকি সব ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছে। ফাইনালেও তাই আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। তা যে যৌক্তিক ছিল, তার প্রমাণও মিলেছে। ভারত যুব দলকে ১৭৭ রানের বেশি করতে দেননি বাংলাদেশ যুবারা। ৪৭.২ ওভারে এই রান করে অলআউটও হয় ভারত যুব দল। বোলারদের ঐক্যবদ্ধ বোলিং আর ফিল্ডারদের আত্মবিশ্বাসী ফিল্ডিংয়ে তছনছ হয়ে যায় ভারত যুব দলের ব্যাটিং লাইনআপ। তিন পেসার অভিষেক দাস (৩/৪০), শরিফুল ইসলাম (২/৩১) ও তানজিম হাসান সাকিব (২/২৮) মিলে এমনই অসাধারণ বোলিং করেন, তাতে ডুবে ভারত যুব দল। যদি ওপেনার যশস্বি জশওয়াল (৮৮) হাল না ধরতে পারতেন তাহলে ১৭৭ রানও করতে পারত না ভারত যুব দল। এত কম রান করেও ভারত যুব দল জেতার আশা করেছে। কারণ গত বছর যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ১০৬ রান করেও ৫ রানে বাংলাদেশ যুব দলকে হারিয়েছিল। কিন্তু এবার তা করতে পারেনি। এবারের বাংলাদেশ যুব দলটি যে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অনেক বেশি মানসিক শক্তিতে ভরপুর। আর তাইতো ভারত যুব দলের ছুড়ে দেয়া ১৭৮ রানের টার্গেট অতিক্রম করতে ৪২.১ ওভারের বেশি খেলতেও হয়নি। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করেই জিতে যায় বাংলাদেশ যুব দল। বৃষ্টি আইনে জিততে ৪৬ ওভারে ১৭০ রান লাগত। তা করে ফেলে বাংলাদেশ যুব দল। আকবর ৭৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৩ রান করেন। তাতে করে চ্যাম্পিয়নও হয়ে যায় বাংলাদেশ যুব দল। বাংলাদেশ যুব দলের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম যেভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন, মনে হয় বড় কিছুই করবেন। দুইজন মিলে দলকে ৫০ রানে নিয়ে যান। এমন মুহূর্তে তানজিদ (১৭) আউট হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়ও (৮) সাজঘরে ফিরেন। তাতে করে দল একটু চাপে পড়ে যায়। দলের ৬২ রানে মাহমুদুল জয় আউটের পর পায়ে টান লাগায় ২৫ রানে থাকা ওপেনার ইমনও মাঠ থেকে বের হন। স্বেচ্ছায় অবসর নেন। একই সময়ে তৌহিদ হৃদয়ও যখন আউট হয়ে যান দল বিপদে পড়ে যায়। লেগ স্পিনার রবি বিস্ময় এমনই বোলিং করতে থাকেন, ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারেন না। আউট হতে থাকেন। প্রথম তিন উইকেটই শিকার করে নেন বিস্ময়। বাংলাদেশ যুব দলকে চাপে ফেলে দেন। দলের ৬৫ রান হতে শাহাদাত হোসেনকে আউট করে দেন বিস্ময়। তার বোলিংয়েই আশা হতাশায় পরিণত হতে থাকে। ২০ রান যোগ হতেই শট খেলতে গিয়ে শামিম হোসেন (৭) আউট হয়ে গেলে হারের সম্ভাবনাই জেগে ওঠে। অধিনায়ক আকবর আলী ও অভিষেক দাস মিলে দলকে শত রানে নিয়ে যান। একাধিকবার ক্যাচ আউট হওয়া থেকে বেঁচেও অভিষেক টিকে থাকতে পারেননি। দলের ১০২ রানের সময় আশা জাগিয়ে আউট হয়ে হতাশায় ডোবান অভিষেক (৫)। বামহাতি পেসার সুশান্ত মিশ্র পরপর দুই উইকেট নিয়ে ফেলেন। অভিষেক আউটের পর ওপেনার ইমন ব্যাট হাতে আবার নামেন। তখন ভরসা মিলে। দুইজনই যে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। আকবর উইকেটে আঁকড়ে থেকে খেলতে থাকেন। ইমন নেমে রান তুলতে থাকেন। দুইজন মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর স্বপ্নও দেখান। ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যেভাবে আকবর ও ইমন খেলতে থাকেন, তাতে ভরসা মিলে। কিন্তু ইমন ঠিকমতো একটা সময় ব্যাটিং করতে পারেননি। ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়ে আবার ফিরে ২২ রান যোগ করে আউট হয়ে যান। আকবরের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন। দলের ১৪৩ রানে আউট হয়ে যান ইমন। জিততে ৩৫ রান বাকি থাকতে তার আউট হতেই হতাশা আরও বাড়ে। ইমন আউটের পর আকবরই শুধু ভরসা হয়ে থাকেন। আকবর কী পারবেন শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতাতে? সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন? সেই প্রশ্নই ওঠে। টানা ২০ বল কোন রান নেননি আকবর ও ব্যাট হাতে নামা রকিবুল হাসান। অবশেষে ওয়াইড থেকে এক রান আসে। ইমন আউটের পর এতটাই চাপ তৈরি হয়ে যায় ২২ বলে গিয়ে ব্যাট থেকে রান আসে। ২১টি বল ডট গেছে। খুব সাবধানে এগিয়ে যেতে থাকেন আকবর আর রকিবুল। ১৫০ রানও হয়ে যায়। বাংলাদেশ যুব দলের রান যখন ৭ উইকেটে ১৬৩ হয়, জিততে ৫৪ বলে ১৫ রান লাগে, তখন বৃষ্টি নামে। আকবর ৪২ ও রকিবুল ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বৃষ্টি হওয়ার পর জল্পনা শুরু হয়ে যায়, আর খেলা না হলে কে জিতবে। সেক্ষেত্রে এই সময় পর্যন্ত ৪১ ওভার খেলেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে এই সময় পর্যন্ত ১৪৭ রানের টার্গেট পড়ত। তাতে আর খেলা না হলে বাংলাদেশ যুব দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। তাতে শান্তি বিরাজ করে। ১০ মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি থেমে যায়। বাংলাদেশের সামনে জিততে ৩০ বলে ৭ রানের টার্গেট দেয়া হয়। ৪৬ ওভারে ১৭০ রানের টার্গেট দেয়া হয়। উত্তেজনা বিরাজ করে। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়। রকিবুল বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেন। ২৬ বলে জিততে ২ রান লাগে। রকিবুল ১ রান নেন। ২৪ বলে জিততে ১ রান লাগে। রকিবুল ১ রান নিয়ে ২৩ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতান। বিশ্বকাপ জয় করে ফেলেন। আকবর ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শুরু থেকেই বাংলাদেশ যুবা বোলাররা অসাধারণ চাপে রাখেন ভারত যুবা ব্যাটসম্যানদের। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ১০ ওভারে ২৩ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। কি পরিমাণ যে চাপে রাখা গেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। ৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর অনেক চেষ্টা করে ওপেনার জশওয়াল ও তিলক ভর্মা মিলে দলকে ১০৩ রানে নিয়ে যান। এরপর যে ধস নামা শুরু হয়, তা চলতেই থাকে। তবে জশওয়ালকেই আউট করা যাচ্ছিল না। তাতে রানও বাড়তে থাকে। যখনই দলের ১৫৬ রানে শরিফুল ইসলাম জশওয়ালকে আউট করে দেন, এরপর সিদ্বেশ ভিরকেও সাজঘরে ফেরান, টানা দুই বলে দুই উইকেট নেন, তাতেই ভারত যুব দলের বারোটা বেজে যায়। ভারত ব্যাটসম্যানরাও এমন ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন, রান আউটও হতে থাকে। শেষে অভিষেকের বোলিং দ্যুতি মিললে ১৮০ রানও করতে পারেনি ভারত যুব দল। শেষদিকে ৯ রানেই ৫ উইকেটের পতন ঘটে যায় ভারত যুব দলের। এত কম রানে বেঁধে ফেলায় বাংলাদেশ যুব দলের জেতার আশাও জেগে যায়। শেষ পর্যন্ত জিতে যায় বাংলাদেশ যুব দল। যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলীর হাতে শিরোপাও শোভা পায়। এবার ১৩তম যুব বিশ্বকাপ হয়। এই বিশ্বকাপের আগে ১২ বার যুব বিশ্বকাপ হয়। ১১ বার অংশ নেয় বাংলাদেশ যুব দল। ২০১৬ সালে নিজ দেশে হওয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলে দল। যা এবারের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ যুব দলের সেরা সাফল্য ছিল। এবার ফাইনালে উঠে সব সাফল্যকে পেছনে ফেলে দেয় বাংলাদেশ যুব দল। শুধু কি তাই, শিরোপাও জয় করে নেয়। যুব বিশ্বকাপের সেরা দল ভারত যুব দল। সবচেয়ে বেশি চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। ছয়বার খেলে ফাইনালে। স্বাভাবিকভাবেই তারা ফেবারিট ছিল। কারণ বাংলাদেশ যুব দল যে একবারও ফাইনালে খেলতে পারেনি। প্রথমবার ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু এই দলটি যে কতটা শিরোপা ক্ষুধায় মগ্ন, তা পুরো বিশ্বকাপজুড়েই বোঝা গেছে। সামনে যে দলই পড়েছে, তাদেরই নাজেহাল করেছে। গ্রুপপর্বে জিম্বাবুইয়ে যুব দলকে ৯ উইকেটে হারানোর পর স্কটল্যান্ড যুব দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নেয়। এরপর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটিতে পাকিস্তান যুব দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। এরপরও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামে। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় আকবরবাহিনী। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড যুব দলকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করে। ফাইনালে ভারত যুব দলকে হারিয়ে শিরোপাও জয় করে নেয়। এবারের বাংলাদেশ যুব দলটি যে কোন সময়ের চেয়ে সেরা দল। ফাইনালে উঠেই তা বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচটি কী আর তাদের জন্য সহজ কোন ব্যাপার? কোনদিনই এমন মঞ্চে খেলতে নামেনি। সবচেয়ে বড় বিষয়, স্নায়ুচাপে ভোগার মতো মঞ্চও ছিল। কিন্তু এমনভাবে বাংলাদেশ যুবারা তা নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তাতে ভারত যুব দল এবং তাদের সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে গেছেন। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হতাশায় ডোবায় বাংলাদেশ যুব দল। বাংলাদেশ যুব দলটি এর আগে যখনই ভারত যুব দলের সামনে পড়েছিল, লুটিয়ে পড়েছিল। গত বছরই সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়া যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়েও ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে যুব ক্রিকেটে ২২ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে জয়ও খুব কম ছিল, মাত্র ৩টি। ভারত যুব দলের বিরুদ্ধে আবার এর আগে সবমিলিয়ে পাঁচবার ফাইনাল ম্যাচে খেলে একটিতেও জেতা যায়নি। ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হারই যেন নিয়তি হয়ে উঠেছিল। হারের গোলকধাঁধায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ যুব দল। এবার সেই ধাঁধা থেকে শুধু বেরই হয়নি, এমন এক ম্যাচে ভারত যুব দলকে হারিয়েছে, যে ম্যাচটি আবার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। যে স্বপ্ন নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল, তা আগেই বাস্তব হয়ে গিয়েছিল। ফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। সেই স্বপ্নকে ছাপিয়ে শিরোপা জয়ের মতো কা-ই ঘটিয়ে দিলেন আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, শাহাদাত হোসেন, শামিম হোসেন, রকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, অভিষেক দাস, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মুরাদরা। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে ঘন ঘন বিদেশ সফর আর আমেরিকান ফুটবলের আদলে অনুশীলন করে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যই কুড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। সর্বশেষ ২০১৮ সালের যুব বিশ্বকাপের পর থেকে যে বাংলাদেশ যুব দল দেশে-বিদেশে ম্যাচ খেলেছে, জয়ের ধারায় থাকার ভিত তৈরি হয়েছে, তা বিশ্বকাপেও কাজে লেগেছে। আর তাইতো অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ যুব দল।

স্কোর : বাংলাদেশ-ভারত যুব দল ফাইনাল ম্যাচ-পোচেফস্ট্রুম

ভারত যুব দল ইনিংস ১৭৭/১০; ৪৭.২ ওভার; জশওয়াল ৮৮, তিলক ৩৮, জুরেল ২২; অভিষেক ৩/৪০, সাকিব ২/২৮, শরিফুল ২/৩১।

বাংলাদেশ যুব দল ইনিংস ১৭০/৭ (বৃষ্টি আইনে টার্গেট ৪৬ ওভারে ১৭০); ৪২.১ ওভার; ইমন ৪৭, তানজিদ ১৭, মাহমুদুল ৮, তৌহিদ ০, শাহাদাত ১, আকবর ৪৩*, শামিম ৭, অভিষেক ৫, রকিবুল ৯*; বিষ্ণয় ৪/৩০।

ফল : বাংলাদেশ যুব দল বৃষ্টি আইনে ৬ উইকেটে জয়ী।

ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল।

Share.