ঢাকা অফিস: প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল সিলেট। এখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা সংক্রামনের আশংকা বেশি থাকলেও সর্বশেষ আসা রিপোর্টেও করোনামুক্ত থাকলো পুরো সিলেট। শহর কিংবা গ্রাম, সব জায়গায় মানুষের মাঝে অজানা আতংক। মনের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি। সিলেটে আতংকের মাঝে আজ তিন দিন থেকে মানুষের মাঝে নেমে এসেছে কিছুটা স্বস্তি। ৩৬০ আউলিয়ার সিলেটে করোনা আক্রান্ত হননি কেউই। এই খবরে সিলেটের মানুষের মাঝে বইছে স্বস্তির প্রশান্তি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মৌলভীবাজারের এক দম্পতি সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাদেরকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বামীকে কোয়ারেন্টিনে রেখে স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঐ লন্ডন ফেরত মৌলভীবাজারের একজন প্রবীন সাংবাদিকের পরীক্ষার রিপোর্টও ‘নেগেটিভ’ এসেছে। আইইডিসিআর থেকে ফোনে আজ সকালে জানানো হয়েছে- তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই। হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা ঐ ব্যক্তির শরীরের ঘাম, রক্ত ও মুখের লালার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরদিন শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। আজ ফোনের তার রিপোর্ট পাওয়া গেলো। ওই যুক্তরাজ্যফেরত ব্যক্তির বয়স প্রায় ৭০ এবং তিনি একজন প্রবীন সাংবাদিক। জানা গেছে, তাদের নিয়ে আসা বিমানের এ ফ্লাইটে মোট ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। ষাটোর্ধ্ব বয়েসী ওই দম্পতির শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকায় তাদেরকে শহীদ শামছুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। অন্য যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডা. আনিসুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত সিলেটের কারো শরীরে মহামারী এই ভাইরাস ধরা পড়েনি। এটা সিলেটবাসীর জন্য সু-খবর। তবে তিনি সবাইকে সচেতন থাকতে আহবান জানিয়েছেন। সিলেটকে করোনা মুক্ত রাখতে আপাতত সবাইকে প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৩৬০ আউলিয়ার পূন্য ভূমি সিলেট এখনও করোনাভাইরাস মুক্ত
0
Share.