লকডাউন অমান্য করলে গুলি: রদ্রিগো দুয়ার্তে

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে লুজোন দ্বীপ এক মাসের জন্য লকডাউন করেছে ফিলিপাইন সরকার। এটি কার্যকরে কেউ সমস্যা তৈরি করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, লকডাউন আরোপের দুই সপ্তাহের মধ্যে কোনও খাবার না পেয়ে রাজধানী ম্যানিলার বাইরে এক বস্তির বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করে। এরপরই বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুয়ার্তে। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাসহ বড় একটি অংশ নিয়ে গঠিত লুজোন দ্বীপ। প্রায় পাঁচ কোটি ৭০ লাখ মানুষের বাস এই দ্বীপে। করোনা মহামারি রোধে এক সপ্তাহের লকডাউন আরোপ করা হয়েছে সেখানে। দেশটির অন্যান্য এলাকাতেও একই ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দেশটির ১০ কোটিরও বেশি মানুষ কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় কোয়ারেন্টিনে থাকার পরেও খাবার ও অন্য ত্রাণ না পাওয়ায় বুধবার মহাসড়কে বিক্ষোভ করে ম্যানিলার বাইরের এক বস্তির বাসিন্দারা। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ঘরে ফিরে যেতে বললেও তাতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। পুলিশের তরফে জানানো হয় ২০ জনকে গ্রেফতার করে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে টেলিভিশন ভাষণে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে বলেন, ‘এই হুঁশিয়ারি সবার জন্য। এই মুহূর্তে সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করুন কারণ এটা গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা নির্দেশ দিয়েছি’। তিনি বলেন, ‘আর স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের কোনও ক্ষতি করবেন না… কারণ এটা মারাত্মক অপরাধ। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রতি আমার নির্দেশ, যদি কেউ সমস্যা তৈরি করে আর তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে তাহলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলুন’। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। সরকারকে চ্যালেঞ্জ করবেন না। হেরে যাবেন’। ফিলিপাইনে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৩১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে ৯৬ জন। এদিন ম্যানিলার বাইরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন ৪৭ বছর বয়সী জোসি লোপেজ। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে খাবার না থাকায় তারা বিক্ষোভে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষুধার কারণে সাহায্য চাইতে আমরা এখানে। আমাদের খাবার, চাল, মুদি পণ্য বা টাকা কোনওটাই দেওয়া হয়নি। আমাদের কাজ নেই। আমাদের আর করার কী আছে?’

Share.