ছাত্রলীগের ইউপি সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

0

ঢাকা অফিস: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম প্রমানিক টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুল রহমান স্বপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন পার কিশোরগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। এঘটনায় তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন । এ অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সুপারিশ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ৩ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১ টা ৫০ মিনিটের সময় প্রাচী টপকিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাসহ ১০/১২ জন রেজাউল করিমের বতসবাড়ীতে ঢুকে গালি গালাজ ও নানা ভাবে ভয়ভীতি সহ থানা পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা রেজাউল করিমের ৪ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হুমকি দিলে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ডাকচিৎকার করিতে ধরিলে অভিযুক্তরা তাহার মুখ চেপে ধরে নানা ভয়ভীতি দেখায়। এরপর উপায় অন্তর না পেয়ে ১৯ হাজার টাকা দেয় রেজাউল করিম। টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনাটি কাউকে না বলতে বলে। বললে তার সন্তানের ক্ষয়ক্ষতি সহ কন্যাকে উঠে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় ও রেজাউল করিমের দুটি ভিডিও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বলিলে তাদের পরামর্শক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদকের নিকট এ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান,কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা বাড়ীতে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে নানা ধরণের বাজে কথা বলে থানা পুলিশের ভয়ভীতি দেখায়। এরপরে সেগুলো কর্নপাত না করিলে আমার সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিদেয় অভিযুক্তরা। উপায় অন্তর না পেয়ে শেষে ১৯ হাজার টাকা দেই । এরপরেও তারা আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটো নিয়ে যায় তারা। এঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের পরামর্শক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদকের নিকট অভিযোগ করেছি। রেজাউল করিমের স্ত্রী লিপি বেগম জানান,সাংবাদিক পুলিশের ভয় দেখায় পরে আমার ১০ শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নেওয়ার ও ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিলে উপায় অন্তর না পেয়ে ১৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপরেও তারা আমাদের ব্যবহুত দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এখন বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার মেয়ের নামে বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। এদিকে এ অভিযোগে অভিযুক্ত কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম প্রমানিক টুটুল জানান, রেজাউল মাষ্টারের মেয়ে ছেলে সহ ধরা পরে এ বিষয়টি নিয়ে ছেলে-পেলেদের জামেলা মিটানোর জন্য তিনি আমাদের ১৯ হাজার টাকা দিয়েছেন। আমরা কোন সাংবাদিক বা পুলিশের ভয় দেখায় নাই। সাধারণ সম্পাদক মিজানুল রহমান স্বপন বলেন,অভিযোগটি সঠিক নয় আমরা কারো নিকট জোড় পূর্বক কোন টাকা পয়সা নেই নাই। তার মেয়ে ছেলেসহ ঘরে ধরা পড়ায় আমাদের মাধ্যমে উপস্থিত ছেলে-পেলেদের জামেলা মিটানোর জন্য ১৯ হাজার টাকা দিয়েছে। সেসব টাকা আমরা সাথে সাথে তাদেরকে ভাগ করে দিয়েছি। এই টাকা যারা পাইনি তারাই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করছে। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা নিজেদের ছাত্রত্ব না থাকলেও তারা এখন ছাত্রলীগের নেতা এছাড়াও তাদের অনেকেই বিবাহিত। এরা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে নানা ধরণের অপরাধে লিপ্ত থাকে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্তনেই যাদের মাদকের মামলা চলমান রয়েছে। গোটা ইউনিয়নের সর্বত্র তাদের বিচারণ এ ইউনিয়নে তারা সকল প্রকার অপরাধের সামনে থেকে সংঘবদ্ধভাবে নেতৃত্ব দেয়। ঘটনাটি যাই হোক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এ অভিযোগের বিয়য়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম লিপন জানান,এঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রদান জানান, অভিযোগ পেয়েছি সত্য তবে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জানানো হয়েছে। আশা করি তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এঘটনাটির বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আসিফের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.